কাঁচা মরিচের কেজি ৫০ টাকা, আমদানি বন্ধ

সরবরাহ বাড়ায় দুই দিনের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলিতে পাইকারিতে কাঁচা মরিচের দাম কমেছে কেজিতে ২০ টাকা। দুই দিন আগেও প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ ৭০ টাকা বিক্রি হয়েছিল। একইভাবে খুচরা বাজারে ২০ টাকা কমে ৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে; যা আগে ৮০ টাকা ছিল।

এদিকে, কাঁচা মরিচের দাম কমায় খুশি নিন্মআয়ের মানুষ। অপরদিকে, দেশি কাঁচা মরিচের দাম কমায় বন্দর দিয়ে আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে।

হিলি বাজারে কাঁচা মরিচ কিনতে আসা বাবুল হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, কয়েকদিন আগে কাঁচা মরিচের দাম বেশি ছিল। আমাদের পক্ষে কাঁচা মরিচ কেনা অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এখন কেজি ৬০ টাকা পাওয়া যাচ্ছে। আগে যেখানে ২৫০ গ্রাম নিতাম এখন ৫০০ গ্রাম কিনছি। কাঁচা মরিচের দাম কমায় আমাদের সুবিধা হয়েছে।

হিলি বাজারের কাঁচা মরিচ বিক্রেতা বিপ্লব হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, কয়েকদিন আগে আবহাওয়াজনিত কারণে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কাঁচা মরিচের উৎপাদন ব্যাহত হয়। ফলে বাজারে সরবরাহ কমায় দাম বেড়ে যায়। এখন আবহাওয়া অনেকটা ভালো থাকায় ও শীত পড়ায় মরিচের উৎপাদন ভালো। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কাঁচা মরিচ উঠতে শুরু করেছে। এতে সরবরাহ আগের তুলনায় বেড়েছে। আগে শুধু নওগাঁর কাঁচা মরিচ এলেও এখন বগুড়া থেকে আসতে শুরু করেছে। আগে যেসব হাটে এক থেকে দেড়শ মণ মরিচ উঠতো বর্তমানে দুই থেকে আড়াইশ মণ উঠছে। সরবরাহ বাড়ায় কমেছে দাম।

হিলি স্থলবন্দরের কাঁচা মরিচ আমদানিকারক আনোয়ার হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, দেশের বাজারে চাহিদা থাকায় ও দেশি কাঁচা মরিচের দাম বেশি হওয়ায় আমদানি করা হচ্ছিল। এই সপ্তাহ থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কাঁচা মরিচ উঠতে শুরু করায় সরবরাহ বাড়ছে। এখন ৫০ টাকা কেজি পাওয়া যাচ্ছে। দেশের বাজারে আমদানিকৃত কাঁচা মরিচের চাহিদা ও দাম কমে যাওয়ায় আমদানি করে লোকসান গুনতে হচ্ছে। সর্বশেষ গত রবিবার বন্দর দিয়ে দুটি ট্রাকে ১৭ টন কাঁচা মরিচ আমদানি হয়। আমদানিকৃত এসব মরিচের ক্রেতা সংকট দেখা দেয়। বাধ্য হয়ে রংপুরসহ বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠিয়ে ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি করতে হয়। এ জন্য আমদানি বন্ধ করে দিয়েছেন আমদানিকারকরা।