একদিনেই হিলিতে পেঁয়াজের দাম বাড়লো ৩-৪ টাকা

আমদানি কমায় দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে মাত্র একদিনের ব্যবধানে পাইকারিতে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। এ নিত্যপণ্যের দাম কেজিতে ৩-৪ টাকা বেড়েছে। একদিন আগেও বন্দরে আমদানি করা ইন্দোর জাতের প্রতি কেজি পেঁয়াজ ২৩-২৫ টাকা বিক্রি হলেও বর্তমানে তা বেড়ে ২৭-২৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) হিলি স্থলবন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসা আইয়ুব আলী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বন্দর থেকে পেঁয়াজ কিনে দেশের বিভিন্ন মোকামে সরবরাহ করি। কিন্তু গত এক সপ্তাহ ধরে ২৩ থেকে ২৫ টাকা দরে পেঁয়াজ বেচাকেনা হলেও আজ ৩-৪ টাকা করে বেড়েছে। বাজারে দেশীয় পাতা পেঁয়াজ ওঠায় মোকামগুলোতে পেঁয়াজের চাহিদা কমেছে। একইসঙ্গে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম বাড়ায় এখন কী দামে পেঁয়াজ কিনবো আর কী দামে মোকামে বিক্রি করবো সে চিন্তায় পড়েছি। ফলে বন্দরে পেঁয়াজ কিনতে ভয় পাচ্ছি। এ জন্য আপাতত বাজার পর্যবেক্ষণ করছি।’

হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী স্বপন মুন্সি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘দেশের বাজারে চাহিদার তুলনায় পণ্যটির সরবরাহ বাড়ায় দাম কমতে শুরু করেছে। ফলে লোকসান হওয়ায় পেঁয়াজের আমদানি কমিয়ে দিয়েছেন বন্দরের আমদানিকারকরা। এতে আবারও পণ্যটির সরবরাহ কমায় দাম বাড়তির দিকে রয়েছে। সেই সঙ্গে ভারতের বিভিন্ন মোকামে নতুন পেঁয়াজ উঠতে শুরু করলেও সম্প্রতি বৃষ্টিপাত হওয়ায় নতুন পেঁয়াজ সেভাবে বাজারে আসছে না। ফলে সরবরাহ কমায় সে দেশের বাজারেই পুরাতন পেঁয়াজের দাম একটু বেড়েছে। এতে বাড়তি দামে কেনার ফলে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম কিছুটা বাড়ছে। এ ছাড়া শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির কারণে বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকবে, ফলে সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) মোকামগুলোতে পেঁয়াজের বাড়তি চাহিদা তৈরি হওয়ায় প্রতিযোগিতা করে অনেকেই পেঁয়াজ কিনছেন। এতেও দামের ওপর প্রভাব পড়ছে। আগামী এক সপ্তাহ পেঁয়াজের এমন বাজার থাকতে পারে। তবে নতুন পেঁয়াজ পর্যাপ্ত পরিমাণে আসা শুরু করলে আবারও দাম কমে আসবে।’

হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এ বন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি অব্যাহত থাকলেও আগের তুলনায় কিছুটা কমেছে। পূর্বে দিনে বন্দর দিয়ে ২৫-৩০ ট্রাক পেঁয়াজ এলেও বর্তমানে তা কমতে কমতে ১০-১৫ ট্রাকে নেমেছে। বৃহস্পতিবার বন্দর দিয়ে ১৫ ট্রাকে ৪৩৬ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।’