দুই দিনে হিলিতে পেঁয়াজের দাম বাড়লো ৫ টাকা

মিয়ানমার থেকে আমদানি বন্ধের কারণে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে দুই দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম পাইকারিতে কেজিতে পাঁচ টাকা বেড়েছে। দুই দিন আগেও বন্দরে প্রতিকেজি ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ ২৭-২৮ টাকা বিক্রি হয়। বর্তমানে তা বেড়ে ৩২-৩৩ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।  

বন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসা ইয়াসিন আলী বলেন, পেঁয়াজের বাজার আবার ঊর্ধ্বমুখী হতে শুরু করেছে। গত বৃহস্পতিবার বন্দর থেকে ২৭-২৮ টাকা দরে পেঁয়াজ কিনেছিলাম। শনিবার (৪ ডিসেম্বর) পেঁয়াজ কিনতে এসে দাম শুনে হতবাক হয়ে গেছি। আবারও পেঁয়াজের দাম পাঁচ টাকা করে বেড়েছে। 

বন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি বেড়েছে। শনিবার ২৮ ট্রাক পেঁয়াজ ঢুকেছে। তারপরও দাম বাড়তি। ব্যবসায়ীরা কারসাজি করে দাম বাড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন ইয়াসিন আলী।

ব্যবসায়ী স্বপন মুন্সি বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, বেশি দামে পেঁয়াজ আমদানি করে দেশের বাজারে কম দামে বিক্রি করায় লোকসান হচ্ছে। গত সপ্তাহ থেকে আমদানি কমিয়েছেন বন্দরের আমদানিকারকরা। এ ছাড়া সম্প্রতি ভারতে বৃষ্টিপাত হওয়ায় নতুন পেঁয়াজ পর্যাপ্ত উঠছে না। এতে ভারতের বাজারেই পেঁয়াজের সরবরাহ কমেছে। পুরনো পেঁয়াজের দাম কিছুটা বাড়িয়ে দিয়েছেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা। 

তিনি আরও জানান, মিয়ানমার থেকে নৌপথে যে পেঁয়াজ আমদানি হতো তা ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের কারণে বন্ধ রয়েছে। এতে দেশের বাজারে শুধু ভারতীয় পেঁয়াজের সরবরাহ। ফলে দেশের বাজারে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কমায় দামও বাড়তির দিকে। এ ছাড়া দেশীয় পেঁয়াজের দাম আগের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। আগে যে দেশীয় পেঁয়াজ মোকামে এক হাজার ৮০০ টাকা ছিল, তা বেড়ে দুই হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, বন্দর দিয়ে গত সপ্তাহে ১০ থেকে ১৫ ট্রাক করে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। শুক্রবার আমদানি-রফতানি বন্ধের পর শনিবার বন্দর দিয়ে ২৮টি ট্রাকে ৭৯৮ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়।