কাঁচা মরিচের কেজি ২০ টাকা

হিলি দিয়ে ভারত থেকে আমদানি বন্ধ থাকলেও বাজারে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেশি থাকায় কাঁচা মরিচের দাম কমেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৫ টাকা কমে বর্তমানে পাইকারিতে ২০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। 

এক সপ্তাহ আগে ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল। যা খুচরা বাজারে ৩০ টাকা বিক্রি হয়েছিল। বর্তমানে খুচরা বাজারে ২৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা মরিচের দাম কমায় স্বস্তি ফিরেছে নিম্নআয়ের মানুষজনের মাঝে।
 
হিলি বাজারে কাঁচা মরিচ কিনতে আসা আইয়ুব হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমাদের মতো সাধারণ মানুষের বেশ সমস্যা হচ্ছে। এর সঙ্গে কাঁচা মরিচের দাম বৃদ্ধির কারণে আমাদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছিল। এখন সে অবস্থা অনেকটা কেটে গেছে। বর্তমানে কাঁচা মরিচের দাম কমে ২৫ টাকায় নেমেছে। এতে আমাদের বেশ সুবিধা হয়েছে। এই দাম কমার কারণে আগে যেখানে কম পরিমাণ কিনতাম এখন একটু বাড়তি কিনতে পারছি। মরিচের মতো অন্যান্য সবজির দাম যদি একটু কমে তাহলে আমাদের জন্য সুবিধা হতো।
 
হিলি বাজারের কাঁচা মরিচ বিক্রেতা বিপ্লব হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি বন্ধ থাকলেও গত কয়েকদিন ধরে নিয়মিতভাবে কাঁচা মরিচের দাম কমতির দিকে রয়েছে। এর মূল কারণ হলো বর্তমানে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও শীত পড়ায় বগুড়া, নওগাঁসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মরিচের উৎপাদন ভালো হয়েছে। সেই সঙ্গে সব অঞ্চল থেকেই মরিচ উঠতে শুরু করায় বাজারগুলোতে আগের তুলনায় সরবরাহ বাড়ছে। সরবরাহ বাড়লেও সেই তুলনায় চাহিদা না থাকায় দাম কমেছে।
 
হিলি স্থলবন্দরের কাঁচা মরিচ আমদানিকারক আনোয়ার হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, দেশের বাজারে দাম বাড়ায় বাজার নিয়ন্ত্রণে ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি করছিলাম। কিন্তু এখন বেশ কিছুদিন ধরে আমদানি বন্ধ রেখেছি। এর কারণ হলো এখন ভারতে কাঁচা মরিচের যে দাম আমদানি করে দেশের বাজারে এসব ৫০ টাকার ওপরে কেজি বিক্রি করতে হবে। কিন্তু দেশের বাজারে এখন কাঁচা মরিচের দাম অর্ধেকের নিচে নেমেছে। বর্তমানে মরিচ আমদানি করে লোকসান গুনতে হবে। তাই আমদানি বন্ধ রেখেছি।