গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যায় ৫ জনের যাবজ্জীবন

রংপুর সদরের কেরানিরহাটের গৃহবধূ মরিয়ম বেগমকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় পাঁচ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

দীর্ঘ আট বছর পর মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে রংপুরের স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মো. রেজাউল করিম এ রায় দেন।

রায় ঘোষণার সময় পাঁচ আসামির চার জন কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। এক আসামি পলাতক রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। গ্রেফতারের পর রায় কার্যকর হবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ওই এলাকার বাসিন্দা হামিদুল ইসলাম, আতিয়ার রহমান, জাহিদুল ইসলাম, নুরুল আমিন ও জাহাঙ্গীর আলম। ঘটনার পর থেকে জাহাঙ্গীর আলম পলাতক রয়েছেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আদালতের এপিপি জয়নাল আবেদীন অরেঞ্জ বলেন, ২০১৩ সালের ১৮ এপ্রিল কেরানিরহাটের জগদীশপুর এলাকায় পূর্বশত্রুতার জেরে রাত ২টার দিকে ঘরে ঢুকে মরিয়ম বেগমকে কুপিয়ে হত্যা করে আসামিরা। নিহত মরিয়ম (৩৮) ওই এলাকার শের শাহ মিয়ার স্ত্রী।

এ ঘটনায় মরিয়ম বেগমের চাচা সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় পাঁচ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। মরিয়মকে হত্যার ঘটনায় হামিদুল ইসলামকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে আদালতে জবানবন্দি দেন হামিদুল। তার জবানবন্দি অনুযায়ী আরও তিন আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

তারা হলেন আতিয়ার রহমান, জাহিদুল ইসলাম ও নুরুল আমিন। ঘটনার পর থেকে জাহাঙ্গীর আলম পলাতক রয়েছেন। তদন্ত শেষে পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ। ১৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে পাঁচ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত।

এই রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে মামলার বাদী সিরাজুল ইসলাম বলেন, হত্যার ঘটনা প্রমাণিত হওয়ার পরও আসামিদের মৃত্যুদণ্ড না দিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। 

এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানান আসামিপক্ষের আইনজীবী আব্দুর রশীদ চৌধুরী। তিনি বলেন, আসামিরা ন্যায়বিচার পায়নি। এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবো। 

রায় ঘোষণার পর আসামিদের পুলিশি পাহারায় কারাগারে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।