সাদুল্লাপুরে নৌকার নির্বাচনি অফিসে হামলার অভিযোগ 

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নে নৌকার নির্বাচনি অফিসে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। এতে অফিসে থাকা ছয় কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। ভাঙচুর করা হয়েছে অফিসের চেয়ার-টেবিলসহ বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবিও। এ সময় চারটি মোটরসাইকেল ছাড়াও বাজারের কয়েকটি দোকানেও ভাঙচুর ও লুটপাট চালায় হামলাকারীরা। 

বুধবার (১২ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার ৫ নম্বর ফরিদপুর ইউনিয়নের ঘেগার বাজার এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে।

৩১ জানুয়ারি ৬ষ্ঠ ধাপের ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. ময়নুল প্রধানের কর্মী-সমর্থকরা পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. নুর আজম মণ্ডল নিরব। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী ময়নুল প্রধান। তার দাবি, নৌকার কর্মীদের হামলায় শাকিল, ইয়াকুব ও জিসানসহ চার জন গুরুতর আহত হয়েছেন।

নৌকার প্রার্থী নুর আজম মণ্ডল নিরব বলেন, রাত সাড়ে ৮টার দিকে আমার কর্মী-সমর্থকরা ঘেগার বাজারের নির্বাচনি অফিসে ছিলেন। এ সময় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ময়নুল প্রধানের ৩০-৪০ জন কর্মী-সমর্থক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে রনজিত ও টুটুল মিয়াসহ ছয় জন আহত হন। নির্বাচনি অফিসের চেয়ার-টেবিল, বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি, চারটি মোটরসাইকেল এবং চারটি দোকান ভাঙচুর-লুটপাট করে পালিয়ে যায় তারা। ঘটনার পর থেকে দুটি মোটরসাইকেলের খোঁজও পাওয়া যাচ্ছে না। 

তিনি বলেন, হামলায় কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে প্রার্থী ময়নুল প্রধানের ভাই মামুন, মিজানুর, চাচা কালাম, মতিয়ার, বোন জামাই আল-আমিন ও ভাগ্নে জিমসহ ভাড়াটিয়া লোকজন অংশ নেয়। আহতদের মধ্যে রনজিত ও টুটুল মিয়াকে সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় টুটুল মিয়াকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 

এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করবেন বলেও জানান তিনি।

হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে সাদুল্লাপুর থানার ওসি প্রদীপ কুমার জানান, খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। এ ঘটনায় থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে ঘটনাটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।