মাঘের শুরুতেই শীতে কাবু হিলি, বিপাকে খেটে-খাওয়া মানুষ

পৌষ শেষে মাঘের শুরু থেকেই দিনাজপুরের হিলিতে আরও কমেছে তাপমাত্রা। অব্যাহত রয়েছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। সেই সঙ্গে ঘন কুয়াশা ও হিমেল বাতাস শীতের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষজন। অনেকেই পাচ্ছেন না কাজ। কেউবা শীতের কারণে কাজে যেতে পারছেন না। যাত্রী কমে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন রিকশা-ভ্যানচালকরাও।

ভ্যানচালক সিরাজুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আজ প্রচণ্ড শীত পড়েছে, সঙ্গে কুয়াশা ও বাতাস রয়েছে। শীত বাড়ার কারণে আমাদের আয় কমে গেছে। অন্যান্য দিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ১০০-১৫০ টাকা আয় হলেও আজ হয়েছে ২০-৩০ টাকা।’

hili2

শ্রমজীবী বাদল হাসান বলেন, ‘গত তিন-চার দিন ধরে হিলিতে প্রচণ্ড শীত পড়েছ। আমরা ঠিকমতো কাজ পাচ্ছি না। আবার কাজ পেলেও শীতের কারণে ঠিকমতো কাজ করতে পারছি না। এতে আমাদের জীবনযাপন অসম্ভব হয়ে পড়েছে।’

হিলি বাজারের দোকানের কারিগর ইদ্রিস আলী বলেন, ‘আমাদের কাজে খুব সমস্যা হচ্ছে। প্রচণ্ড শীতের কারণে কাজ করতে পারছি না।’

দিনাজপুর আবহাওয়া অধিদফতরের ইনচার্জ তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘বুধবার দিনাজপুর অঞ্চলে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা আজ সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। বাতাসের আর্দ্রতা ৯৬ শতাংশ। বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৪-৫ কিলোমিটার, যা বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উত্তর বা উত্তর পশ্চিম দিক থেকে ৮-১০ কিলোমিটার বেগে ধাবিত হতে পারে।’