আবর্জনা হিসেবে ফেলে দেওয়া মাছের আঁশে বাড়তি আয়

আবর্জনা হিসেবে মাছের আঁশ ফেলে দেওয়া হলেও এখন দিনাজপুরের হিলিতে তা বিক্রি করে বাড়তি আয় করছেন ব্যবসায়ীরা। এ আঁশ রফতানি হচ্ছে বিদেশেও। তৈরি হচ্ছে ওষুধের ফয়েলসহ নানা কিছু। দেশেও মাছের আঁশ দিয়ে তৈরি হচ্ছে মাছ ও মুরগীর খাদ্য।

হিলির মাছ বাজারে ছোট বড় মিলিয়ে ২০টির মতো মাছের দোকান রয়েছে। ক্রেতারা মাছ কিনে তা দোকান থেকেই কেটে নিয়ে যান। বাজারে তিন জন মাছ ব্যবসায়ী রয়েছেন, যারা নিজেদের পাশাপাশি অন্যান্য দোকান থেকেও মাছের আঁশ সংগ্রহ করেন। এরপর এগুলো প্রক্রিয়াজাত করে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন। এতে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।

রোদে শুকিয়ে নিচ্ছেন আঁশগুলো

হিলি বাজারের মাছ ব্যবসায়ী মারুফ হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মাছের আঁশগুলো আমরা আগে ফেলে দিতাম। এখন চাহিদা থাকায় প্রক্রিয়াজাত করে বিক্রি করছি। প্রথমে আঁশগুলো ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হয়। এরপর রোদে শুকাতে হয়। এসব আঁশ আমাদের কাছ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে কিনে নেন পাইকাররা।’

অপর মাছ ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম বলেন, ‘প্রতি মাসে ৩০-৪০ কেজির মতো আঁশ বিক্রি করতে পারি। যা থেকে তিন-চার হাজার টাকা বাড়তি আয় হয়। এতে আমরা মাছ ব্যবসার পাশাপাশি বাড়তি আয় করতে পারছি।’

মাছের আঁশ কেনার পাইকার লিটন পারভেজ বলেন, ‘আগে সবাই মাছের আঁশ ফেলে দিতো। এখন আমরা কিনি বলে সবাই সংগ্রহ করে রাখে। আমরা হিলি, জয়পুরহাট, বিরামপুর, দিনাজপুর, সৈয়দপুর, ঘোড়াঘাট, বগুড়া, নাটোর, রাজশাহীসহ বিভিন্ন জেলার মাছ বাজার থেকে আঁশ কিনে থাকি। আমরা এগুলো সংগ্রহ করে ঢাকা পাঠাই। সেখান থেকে চীনে রফতানি হয়।’