হিলিতে তীব্র শীতে বিপাকে খেটে খাওয়া মানুষ

দিনাজপুরের হিলিতে তাপমাত্রা আরও কমেছে। বইছে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ। কুয়াশা কিছুটা কম থাকলেও হিমেল বাতাস শীতের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। আয় কমে গেছে ভ্যান-রিকশাচালকদের। আরও কয়েক দিন শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

সকালে রোদের দেখা মিলেছে। তবে পশ্চিমা বাতাসে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। দিনে তাপমাত্রা কিছুটা বেশি থাকলেও বিকালের পর তা কমতে শুরু করছে। সন্ধ্যার পর ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে বাজারঘাট।

মাটিকাটা শ্রমিক নুর ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘দিন দিন শীত আরও বাড়ছে। শীতের কারণে বাড়ি থেকে বের হওয়া যাচ্ছে না, কাজ করবো কীভাবে? তারপরও কাজে বের হয়েছি। কিন্তু ঠিকমতো কাজ করতে পারছি না। হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে।’

শ্রমজীবী আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘কয়েক দিন হিলিতে শীত কিছুটা কম ছিল। কিন্তু তিন দিন ধরে প্রচুর শীত পড়ছে, সঙ্গে বাতাস বইছে। এই শীতে বাড়ি থেকে বের হওয়া যাচ্ছে না। পেটের তাগিদে কাজে বের হতে গিয়ে জ্বর, শর্দি ও কাশি লেগেই থাকছে।’

ভ্যানচালক ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘সকালে ভ্যান নিয়ে বের হয়েছি, কিন্তু এখন কোনও যাত্রী পাইনি। তীব্র শীত, সেই সঙ্গে বাতাস বইছে। এতে ভ্যান চালাতে কষ্ট হচ্ছে। আমরা তো দিন আনা দিন খাওয়া মানুষ। আয় কমে যাওয়ায় খুব সমস্যায় পড়েছি।’  

দিনাজপুর আবহাওয়া অধিদফতরের ইনচার্জ তোফাজ্জল হোসেন বলেন, শুক্রবার সকালে দিনাজপুর অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৩ শতাংশ। বাতাসের গতি ঘণ্টায় ৪ থেকে ৫ কিলোমিটার। রংপুর ও রাজশাহী বিভাগসহ দেশের বেশ কিছু স্থানে মৃদু থেকে মাঝারি শৈতপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে আরও কয়েক দিন।

পড়ুন:
আবহাওয়ার আরও খবর। 
তাপমাত্রার আরও খবর।
শৈত্যপ্রবাহ- এর খবর।