নীলফামারীতে তাপমাত্রা নেমেছে ৭.৮ ডিগ্রিতে

কথায় আছে, ‘মাঘের শীত বাঘের গায়ে’। প্রচলিত এ প্রবাদের মর্মবাণী হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন নীলফামারীর বাসিন্দারা। গত কয়েকদিনে এ জেলায় তাপমাত্রা কমেছে ৫-৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে জেলার ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা চলতি মৌসুমে এ জেলায় সর্বনিম্ন।

একইসঙ্গে বেড়েছে বাতাসের আর্দ্রতা ও গতি। ফলে বেশ শীত অনুভূত হচ্ছে। আবহাওয়া অধিদফতরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে মৃদু ও মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এই শৈত্যপ্রবাহ আরও কয়েকদিন থাকতে পারে।

এদিকে, চলছে সূর্যের লুকোচুরি, রয়েছে হিমেল বাতাসের প্রভাব। আর এসব মিলে কৃষি শ্রমিক, ভ্যানচালক, রিকশাচালক, জুতার কারিগরদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। শিশু ও বয়স্করাসহ সর্দি, কাশি ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত রোগীরা পড়েছে বেকায়দায়।

আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, আজ নীলফামারীতে সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সঙ্গে বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৩ শতাংশ। বাতাসের গতি ঘণ্টায় ১০ কিলোমিটার। এর আগে বৃহস্পতিবার নীলফামারীতে সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আরও জানা গেছে, আজ জেলার সৈয়দপুরে ৭ দশমিক ৮, রংপুরে ৮ দশমিক ২, ডিমলায় ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

জেলা শহরের নিউবাবুপাড়ার মাছ ব্যবসায়ী সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘রাত থেকে প্রচণ্ড শীত আর ঠান্ডা বাতাস বইছে। সকালে আড়তে মাছ নিয়ে ব্যবসা করা মুশকিল হয়ে পড়েছে। বেচাকেনা শূন্যের কোটায়। এতে লোকসান গুনতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের।’

সদর উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের কৃষি শ্রমিক জহির উদ্দিন বলেন, ‘এই ঠান্ডায় জমির মালিক কাজে নিচ্ছে না। কাজ কম হবে, হাজিরা তো দিতে হবে। এই কারণে কাজ করাচ্ছে না। এ অবস্থা চলতে থাকলে ছেলে-মেয়ে নিয়ে উপোস করতে হবে।’

আবহাওয়া দফতরের সহকারী কর্মকর্তা লোকমান হাকিম বলেন, ‘রংপুরসহ দেশের কয়েক জায়গার ওপর দিয়ে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। শৈত্যপ্রবাহটি অব্যাহত থাকতে পারে।’