হিলিতে বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা 

দিনাজপুরের হিলিতে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও বৃষ্টির মতো কুয়াশা ঝরছে। কুয়াশার কারণে দিনেও সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। সেই সঙ্গে হিমেল বাতাসে কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে। কাজ না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। গরম কাপড়ের অভাবে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন অনেকে।

বস্তা সেলাই করে জীবিকা নির্বাহ করা রেশম আকতার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে খুব শীত। কাজকর্ম তেমন করতে পারছি না। দুই সন্তান নিয়ে খেয়ে না খেয়ে বেঁচে আছি। কিছুই তো পাই না। না কম্বল, না চাল। সকালে বস্তা সেলাইর কাজে এসেছি। শীতের কারণে সুঁই ধরতে পারছি না। ঠিকমতো সেলাই করতেও পারছি না। বাধ্য হয়ে আগুন পোহাচ্ছি।’

রাজমিস্ত্রি আব্দুর রহমান বলেন, ‘ঠান্ডায় আমাদের খুব কষ্ট হচ্ছে। গত দুই-তিন বছর এমন শীত পড়তে দেখিনি। এমন অবস্থা দাঁড়িয়েছে, কাজে যেতে পারছি না। সাইকেল চালিয়ে অনেক দূরে কাজে যেতে হবে। শীতে খুব সমস্যা হচ্ছে।’

ভ্যানচালক মশিউর রহমান বলেন, ‘আজ প্রচণ্ড শীত। সেই সঙ্গে বৃষ্টির মতো কুয়াশা ঝরছে। সামনে কিছু দেখা যাচ্ছে না। ভ্যান চালানো কঠিন হয়ে গেছে। তারপরও পেটের তাগিদে ভ্যান নিয়ে বের হয়েছি। তাছাড়া বাজারঘাটে মানুষ তেমন নেই। রোদ উঠলে শীত কমবে। তখন হয়তো যাত্রী পাবো।’

দিনাজপুর আবহাওয়া অধিদফতরের ইনচার্জ তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘আজ (২ ফেব্রুয়ারি) সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে দিনাজপুরে ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলমান শৈত্যপ্রবাহটি দেশের বিভিন্ন স্থানে কেটে গেছে। তবে দিনাজপুর, সৈয়দপুর, পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম, নওগাঁ, রাজশাহী জেলায় এখনও শৈত্যপ্রবাহ বিরাজ করছে। বর্তমানে এটি মৃদু আকারে বয়ে যাচ্ছে।’