রোদ উঠলেও হিম বাতাসে জড়োসড়ো উত্তরের জনপদ

দিনাজপুরের হিলিতে গতকালের চেয়ে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও অব্যাহত রয়েছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালের দিকে কুয়াশা তেমন না থাকলেও হিমেল বাতাস শীতের মাত্রা বাড়িয়ে তুলেছে। অন্যদিকে সকালে সূর্যের দেখা মিললেও, ছিল না রোদের তীব্রতা। তীব্র শীতের কারণে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষজন।

ভ্যানচালক নুর ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ভোরের দিকে খুব কুয়াশা ঝরেছে, এতে তীব্র শীতে ঘর থেকে মানুষ বের হয়নি। আমরা তো গরিব মানুষ, এখন যাত্রী না পেলে কি করে খাবার টাকা যোগাড় হবে?

রিকশাচালক মনিরুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, শীতের কারণে আমাদের রিকশা চালাতে খুব কষ্ট হচ্ছে। গা-হাত-পা সিটিয়ে যাচ্ছে। জ্বর-সর্দি-কাশিসহ নানা রোগ দেখা দিচ্ছে। তারপরেও কাজ না করলে খাবো কি, বাধ্য হয়েই রিকশা নিয়ে বের হয়েছি।

বাজারের মুদি দোকানি এনতাজ আলী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ভোরে দোকানের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে দেখি কুয়াশা যেন বৃষ্টির মতো ঝরছে। তারপরেও কষ্ট করে শীতের মধ্যে এসে দোকান খুলেছি, তবে ক্রেতার দেখা নাই। 

দিনাজপুর আবহাওয়া অধিদফতরের ইনচার্জ তোফাজ্জল হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আজ দিনাজপুর অঞ্চলে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গতকাল ছিল ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ৯২ শতাংশ, বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৩-৪ কিলোমিটার। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ৭-৮ কিলোমিটার গতিতে উত্তর পশ্চিম দিক থেকে বাতাস বইতে পারে। বর্তমানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহটি দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দূর হলেও দিনাজপুর, রাজশাহী, কুড়িগ্রামসহ দেশের আরও দুই-এক স্থানে তা বিরাজ করছে। আগামী দুই-একদিনে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে বলে জানান তিনি।