প্রেমের বিরোধ মেটাতে গিয়ে খুন, গ্রেফতার ৯

কুড়িগ্রাম সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নে ধরলা আবাসন প্রকল্পে দুই পরিবারের দ্বন্দ্ব মেটাতে গিয়ে প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) দিবাগত মধ্যরাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

এর আগে, রাত ৮টার দিকে সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের উত্তর নওয়াবশ গ্রামের ধরলা আবাসন প্রকল্পে প্রেমের সম্পর্কের জেরে দুই পরিবারের বিরোধ মীমাংসা করতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে খুন হন ওই গ্রামের প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস ছাত্তারের ছেলে বকুল মিয়া। পরে এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই মুকুল মিয়া বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১০/১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

গ্রেফতার অভিযুক্তরা হলেন- আবাসনের বাসিন্দা মোরশেদুল হক, তার স্ত্রী আফরোজা বেগম, ছেলে জাহিদ হাসান (২০)। এ ছাড়া রওশন ইসলাম (২৫), রশিদুল ইসলাম (৪৪), রানা ইসলাম (২৬), হানিফ আহমেদ (৫৩), মদিনা বেগম রুজি বেগমসহ (৪২) আরও ছয় জন। তারা ধরলা ব্রিজের পশ্চিম প্রান্তের সওদাগর পাড়ার (সান্ডার পাড়া) বাসিন্দা। মামলায় এজাহারনামীয় অপর আসামি ও মোরশেদুল হকের ভাই মনিরুল (২৬) পলাতক রয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধরলা আবাসন প্রকল্পে অবস্থানরত দুই কিশোর-কিশোরীর মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এই নিয়ে তাদের পরিবারের মধ্যে বিবাদ তৈরি হয়। তা নিরসনে আবাসনের পাশের বাসিন্দা বকুল মিয়া মধ্যস্থতার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে মোরশেদের পক্ষের লোকজনের মধ্য থেকে এক যুবক আকস্মিক বকুলের পেটে ছুরিকাঘাত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি  হলে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

সদর থানার ওসি খান মো. শাহরিয়ার জানান, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে মামলা করেছেন। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিন নারীসহ ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদের গ্রেফতারে পুলিশের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।