ধর্মঘট কে ডেকেছে জানে না কেউ, বন্ধ বাস চলাচল

রংপুরে পরিবহন শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধি ও পুলিশি হয়রানি বন্ধসহ পাঁচ দফা দাবিতে মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) থেকে ঢাকাগামী বাস চলাচল আংশিক বন্ধ রয়েছে। তবে কথিত এ ধর্মঘট মালিক সমিতি না শ্রমিক ইউনিয়ন ডেকেছে সে বিষয়টি স্পষ্ট না। কাদের ডাকে ধর্মঘট চলছে সে বিষয়ে বিভিন্ন পরিবহন কোম্পানির কাউন্টার ম্যানেজার ও কর্মচারীরা কোনও তথ্য দিতে পারেননি। তবে ধর্মঘট নাটকে সাধারণ যাত্রীরা পড়েছেন বিপাকে। তারা এমন হঠকারী কাজের সঙ্গে জড়িতদের বিচার দাবি করেছেন।  

কথিত ধর্মঘট বিষয়ে জেলা প্রশাসনের কোনও পদক্ষেপও লক্ষ্য করা যায়নি। বুধবার (৬ এপ্রিল) কয়েক দফা জেলা প্রশাসক আসিব আহসানের মোবাইলফোনে কল করা হলেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। 

রংপুর জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ কালকের মতো আজও বলেন ধর্মঘট তারা ডাকেননি। কারা ডেকেছেন তা তিনি জানেন না। বরং রমজান মাসে ধর্মঘট ডেকে মানুষকে দুর্ভোগে ফেলা উচিত হচ্ছে না বলে জানান তিনি। 

অন্যদিকে মোটর মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আফতাবুজ্জামান বলেছেন কারা ধর্মঘট ডেকেছেন তা তিনি জানেন না।

বুধবার (৬ এপ্রিল) রংপুর নগরীর কামারপাড়ায় অবস্থিত ঢাকা কোচ স্ট্যান্ড ঘুরে দেখা গেছে শত শত বাস টার্মিনালে পড়ে আছে।  যাত্রীরা ধর্মঘটের কথা শুনে টার্মিনালে আসছেন না। তবে সকালে এনা, ফতেহ আলী ও শ্যামলী পরিবহনের বাস টার্মিনাল ছেড়ে গেছে। 

কয়েকজন যাত্রী জানান, যে সব কোম্পানির গাড়ি চলছে সেসব গাড়িতে চলাচল করা নিরাপদ নয় ভেবে বিকল্প মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকারে করে ঢাকা যাচ্ছেন তারা।

নগরীর মর্ডান মোড়ে দেখা গেছে মাইক্রো ও প্রাইভেটকারসহ দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, ঠাকুরগাঁও থেকে আসা বাসে করে ঢাকায় যাচ্ছেন যাত্রীরা। 

শ্যামলী পরিবহনের কর্মী সাফিউল ইসলাম বলেন, আমাদের মালিক পক্ষ বাস চালু রাখতে বলেছেন।  সকাল থেকেই নির্ধারিত সময়ে বাস ছাড়ছি। ধর্মঘটের কোনও খবর জানা নেই। এনা পরিবহনের বাসও ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে। এছাড়া ফতেহ আলী পরিবহনের বাসও যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে। 

কামারপাড়া বাসস্ট্যান্ডে নামকরা পরিবহন প্রতিষ্ঠান এসআর ট্রাভেলস, আগমনী, হানিফ পরিবহন , নাবিলসহ বেশির ভাগ কোম্পানির কাউন্টার বন্ধ রয়েছে। কর্মচারীরা বলছেন, বাস ধর্মঘট কেন হচ্ছে আমরা জানি না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কাউন্টার ম্যানেজার জানান, শ্রমিক ইউনিয়নের বড় নেতা বললেই বাস চলাচল শুরু হয়। কিন্তু উনি কিছুই বলছেন না। মালিক সমিতির লোকজনও কথা বলছেন না। এটা একটা নাটক। তবে নাটকের কারণে রমজানের শুরুতেই বাস বন্ধ থাকায় আমরা পরিবার নিয়ে বিপাকে রয়েছি।