ব্যবসায়ীকে মারধর করে টাকা লুট, ২ ছাত্রদল নেতা গ্রেফতার

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় ফার্মেসির মালিককে মারধর ও টাকা লুটের অভিযোগে দুই ছাত্রদল নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) দিবাগত রাতে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলো-উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক রুবেল ইসলাম ও সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল নোমান। রুবেল উপজেলার টংভাঙা ইউনিয়নের পশ্চিম বেজগ্রাম এলাকার আহমদ আলীর ছেলে। নোমান একই ইউনিয়নের টংভাঙা এলাকার মোসলেম উদ্দিনের ছেলে।

হাতীবান্ধা থানা পুলিশ ও এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ২০ এপ্রিল মধ্যরাতে রুবেল ও নোমানের নেতৃত্বে ১৫-১৬ জন উপজেলার মেডিক্যাল মোড়ের মেসার্স হেনা ফার্মেসিতে প্রবেশ করেন। এরপর ফার্মের মালিক ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি হাসানুল আলম খান জুয়েলকে মারধর করেন তারা। দেশীয় অস্ত্রের মুখে ক্যাশ থেকে ৭৫-৮০ হাজার নগদ টাকা ও কিছু দামি ওষুধ ছিনতাই করে পালিয়ে যায়। 

এ ঘটনায় হাতীবান্ধা থানায় মামলা করেছেন হাসানুল ইসলাম খান জুয়েল। এছাড়া বৃহস্পতিবার ওষুধ ব্যবসায়ী সমিতির ব্যানারে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দোকানপাট বন্ধ রেখে কর্মবিরতি পালন করা হয়।

হাসানুল ইসলাম খান জুয়েল বলেন, ‘এই ঘটনায় অনেকে রাজনৈতিক রঙ দেওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু আসলে এখানে কোনও রাজনৈতিক ঘটনা ঘটেনি।’

মামলার আসামি হাতীবান্ধা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক খন্দকার নুরুন্নবী কাজল অভিযোগ করে বলেন, ‘ঘটনাটি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক ও পূর্বপরিকল্পিত ছিল। অথচ জুয়েল বিষয়টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতেই ব্যবসায়ীকভাবে নিয়ে গেছেন। আমাদেরকে রাজনৈতিকভাবে হেনস্তা করতেই মিথ্যা মামলা করেছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘গত ১৮ এপ্রিল উপজেলার সিন্দুর্ণা ইউনিয়ন ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে মতবিরোধ সৃষ্টি হয়। এই ঘটনার জের ধরে ২০ এপ্রিল রাতে উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের ডাকে আমরা জুয়েলের ওষুধের দোকানের সামনে যাই। এ সময় পূর্বপরিকল্পিতভাবে আমাদের ওপর হাত তোলা হয়। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।’ 

হাতীবান্ধা থানার ওসি এরশাদুল আলম বলেন, ‘আমরা রাজনৈতিক কোনও পরিচয়ে কাউকে গ্রেফতার করিনি। একজন ব্যবসায়ীর মামলায় রুবেল ও নোমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার তাদেরকে লালমনিরহাট আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।’