পারমিট না থাকায় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ, বেড়েছে দাম

আমদানির জন্য দেওয়া ইমপোর্ট পারমিটের মেয়াদ শেষ হওয়ায় নতুন করে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আসছে না। দেশীয় কৃষকের স্বার্থ বিবেচনায় সরকার পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রেখেছে। তবে আমদানি বন্ধ থাকায় প্রতিদিনের খাবারে ব্যবহৃত মসলা জাতীয় এই পণ্যের দাম বাড়তে শুরু করেছে। 

হিলি স্থলবন্দর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বন্দর দিয়ে সর্বশেষ ৩০ এপ্রিল ৬৮টি ট্রাকে এক হাজার ৯০২ টন পেঁয়াজ এসেছে। এরপর ঈদের ছুটি শেষে ৭ মে বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি শুরু হলেও এখন পর্যন্ত কোনও পেঁয়াজ আসেনি। এদিকে ঈদের আগে বন্দরে পেঁয়াজ ১৪/১৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা বেড়ে ২০ থেকে ২২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

বন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসা মেহেদুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আমরা ঈদের আগে হিলির আমদানিকারকদের গুদাম থেকে পেঁয়াজ কিনে নিয়ে গেলাম ১৪ থেকে ১৫ টাকা কেজি দরে। ঈদের পর কিনতে এসে শুনি দাম বেড়েছে। এখন দাম চাচ্ছে ২০ থেকে ২২ টাকা কেজি। দাম বাড়ার কারণে পেঁয়াজ কেনা আমাদের সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা যেখানে ২০ টাকা কেজি খুচরা বিক্রি করেছি, সেখানে আমাদেরই এখন ২০-২২ টাকা দরে কিনতে হচ্ছে। 

আমদানিকারক শাহরিয়ার আলম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির জন্য পাওয়া ইমপোর্ট পারমিটের (আইপি) মেয়াদ ছিল চলতি মাসের ৫ মে পর্যন্ত। কিন্তু পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ১ মে থেকে ৬ মে পর্যন্ত ছয় দিন হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বন্ধ ছিল। একইভাবে দেশের অন্য বন্দর দিয়েও এ সময় আমদানি আসেনি। এ কারণে ওই সময়ের মধ্যে বাড়তি পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানির ইচ্ছা থাকলেও তা সম্ভব হয়নি। সরকার নতুন করে ইমপোর্ট পারমিট না দেওয়ায় বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আসছে না। আমরা ইতোমধ্যে পেঁয়াজ আমদানির জন্য অনুমতি চেয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরে আবেদন করেছি। ঈদুল আজহায় পেঁয়াজের চাহিদাকে মাথায় রেখে দ্রুত আমদানির অনুমতি দিলে বাজার স্থিতিশীল থাকবে বলে জানান এই আমদানিকারক। 

হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী কর্মকর্তা ইউসুফ আলী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, গত ২৯ মার্চ পেঁয়াজ আমদানির ইমপোর্ট পারমিটের মেয়াদ শেষ হয়। সে সময় রমজানে দেশে পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে সময় বাড়িয়ে ৫ মে পর্যন্ত নির্ধারণ করেছিল কর্তৃপক্ষ। নতুন ইমপোর্ট পারমিট না মেলায় আমদানি বন্ধ রয়েছে। কবে নাগাদ আবার তা চালু হবে সে বিষয়ে তিনি কিছু জানাতে পারেননি।  

স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, হিলি দিয়ে গত ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ভারত থেকে পেঁয়াজ এসেছে। এরপর বন্দর দিয়ে কোনও পেঁয়াজ আমদানি হয়নি।