আমদানি বন্ধের অজুহাতে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম


আমদানির অনুমোদনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে গত পাঁচ দিন ধরে পেঁয়াজ আসছে না। এতে সরবরাহ কমায় খুচরা বাজারে প্রভাব পড়েছে, বেড়েছে দাম। মাত্র দু'দিনের ব্যবধানে আমদানি হওয়া ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ৯ টাকা করে। এতে দেশীয় পেঁয়াজেরও দাম বেড়েছে কেজিতে ১০টাকা করে। এদিকে হঠাৎ করে দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা।

তবে বুধবার (১১ মে) সরেজমিন হিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারের সবকটি দোকানেই ভারতীয় ও দেশীয় পেঁয়াজের ভালো সরবরাহ রয়েছে। এরপরেও দাম ঊর্ধ্বমুখী। দু'দিন আগেও প্রতি কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ খুচরাতে ১৫ থেকে ১৬ টাকা বিক্রি হয়েছে। তবে এখন দাম বেড়ে সেই পেঁয়াজই ২৪-২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে দেশীয় পেঁয়াজও দু'দিনের ব্যবধানে ২৬ টাকা থেকে বেড়ে ৩৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

হিলি বাজারের ক্রেতা কুরবান আলী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, দুই থেকে তিন দিন আগেও বাজার থেকে পেঁয়াজ কিনেছি ১৫-১৬ টাকা কেজি দরে। আর আজ বাজারে এসে দেখি সেই পেঁয়াজই ২৪-২৫ টাকা হয়ে গেছে। বাজার ব্যবস্থাপনায় কোনও মনিটরিং না থাকলে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ কেবল বাড়বে বলে মন্তব্য করেন এই ক্রেতা। 

এ বিষয়ে ব্যবসায়ী রাইয়ান ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আইপির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় গত পাঁচ দিন ধরে ভারত থেকে কোনও পেঁয়াজ আসছে না। এর ফলে বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের সরবরাহ কমেছে। আর আমদানিকারকদের ঘরে যেসব পেঁয়াজ মজুত আছে তারা ১৮-২০ টাকার পেঁয়াজ এখন ২৬ থেকে ২৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছে। এ কারণে খুচরা বাজারে দাম বেড়েছে। একইসঙ্গে সরবরাহ কমায় দেশীয় পেঁয়াজেরও দাম বেড়েছে। তবে নতুন করে ভারত থেকে পেঁয়াজ আসা শুরু হলে বাজার স্থিতিশীল হবে বলে মন্তব্য করেন এই ব্যবসায়ী। 

স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, হিলি দিয়ে সর্বশেষ গত ৩০ এপ্রিল ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল। এরপর আইপি মেয়াদ শেষ হওয়ায় বন্দর দিয়ে নতুন কোনও পেঁয়াজ আসেনি।