নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে ভোরের কালবৈশাখীতে পাঁচশ’র বেশি কাঁচা ও আধাপাকা ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়া মাঠে থাকা পাকা ধান, ভুট্টা ও কাঁচামরিচের জমিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। রবিবার (১৫ মে) ভোরে চাঁদখানা ইউনিয়নের উত্তর চাঁদখানা, সরঞ্জাবাড়ি ও বাহাগিলী ইউনিয়নের নগরবন, উত্তর দূরাকুটি কারবালার ডাঙ্গা গ্রামের ওপর দিয়ে ঝড় বয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
নগরবন গ্রামের আমীর আলী (৪০) বলেন, মাত্র ১০ মিনিটের ঝড়ে অসংখ্য আধাপাকা ও কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এ সময় ভেঙে ও হেলে পড়েছে অসংখ্য গাছপালা।
বাহাগিলি ইউনিয়নের কারবালার ডাঙ্গা আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা রুবেল হোসেন (৪৪) ও আমেনা বেগম (৪১) জানান, ওই ঝড়ে আশ্রয়ণের আধাপাকা একটি ঘরের চাল উড়ে যায়। এ সময় সাত থেকে আটটি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকতা আবুল হাসনাত সরকার বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের কাছে ক্ষয়ক্ষতির তালিকা চাওয়া হয়েছে।’ তালিকাটি পাওয়া গেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর-ই আলম সিদ্দিকী বললেন,‘উপজেলার উত্তর চাঁদখানা, সরঞ্জাবাড়ি ও বাহাগিলী ইউনিয়নের নগরবন, উত্তর দূরাকুটি ও কারবালার ডাঙ্গা দিয়ে ভোরে ঝড় বয়ে যায়। ঝড়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ক্ষতিগ্রস্ত ঘর সরকারি খরচে মেরামত করা হয়।’