বঙ্গবন্ধু ধান-১০০ চাষে লাভের আশা কৃষকের

নীলফামারীতে বোরো মৌসুমে বঙ্গবন্ধু ধান-১০০ পরীক্ষামূলক চাষে সফলতা এসেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট রোগ ও পোকামাকড় সহনশীল এবং জিংক সমৃদ্ধ এ ধান উদ্ভাবন করে।

উদ্ভাবনের পর কৃষি বিভাগের ব্যবস্থাপনায় এবার মাঠ পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু ধান-১০০ চাষে ব্যাপক সফলতা আসে। দেশের ৬৪ জেলায় এ ধানের পরীক্ষামূলক চাষ করা হয়েছে। গত ১১ মে সদর উপজেলার চড়াইখোলা ইউনিয়নের দারোয়ানী ব্লকে ধান কাটার মাঠ দিবসে এ সফলতার কথা জানান কৃষকরা।

জেলা সদরের চড়াইখোলা ইউনিয়নের দারোয়ানী গ্রামের কৃষক পেয়ারুল হক এবার এক একর জমিতে পরীক্ষামূলক চাষ করেছেন বঙ্গবন্ধু ধান-১০০। 

তিনি বলেন, ‘অন্য জাতের চেয়ে এ জাতের ধানের উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় লাভ বেশি হবে। এছাড়াও আগাম ধান ওঠায় দাম বেশি পাওয়া যাবে।’

একই এলাকার কৃষক মো. আনছারুল হক বলেন, ‘এবার প্রথম বঙ্গবন্ধু ধান-১০০ চাষ করেছি। কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় সোয়া তিন বিঘা জমিতে এ ধানের চাষ করি। আশা করছি, খরচ বাদে দ্বিগুণ লাভ করতে পারবো। চালের গুণগত মান ভাল হওয়ায় বাজারে এর চাহিদাও থাকবে। তিন বিঘা জমিতে ৬০ মনের অধিক ফলনের আশা করছি।’

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ জানায়, জেলায় এক হেক্টর জমিতে বঙ্গবন্ধু ধান-১০০ চাষ করা হয়েছে। রোগ ও পোকামাকড় সহনশীল এবং জিংক সমৃদ্ধ মাঝারি চিকন নতুন এ জাতের ধান চাষে ব্যাপক সফলতা এসেছে। স্বল্প খরচে প্রতি বিঘা জমিতে ফলন হয়েছে ২০ মন।

মাঠ দিবসের ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা হোমায়রা মণ্ডল, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কামরুল হাসান, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মহসীন রেজা রূপম, কৃষক আনছারুল হক ও পেয়ারুল হক প্রমুখ।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক আবু বক্কর ছিদ্দিক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ধান-১০০ মাঝারি চিকন হওয়ায় এর চাল বাজারে প্রভাব ফেলবে। রোগ ও পোকামাকড় সহনশীল হওয়ায় উৎপাদন খরচ কমবে। এ জাতের চাল জিংক সমৃদ্ধ হওয়ায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।’

তিনি জানান, এ ধানের পরীক্ষামূলক চাষে কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ দেখা দিয়েছে। এর আবাদ ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে কৃষি বিভাগ।

অপরদিকে, মঙ্গলবার (১০ মে) বেলা ১১টায় সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের ধলাগাছ এলাকায় ৫৫ শতাংশ জমিতে ধান কাটা হয়। উপজেলার নীলফামারী বাইপাস সড়কের পাশে কৃষক মো. মিষ্টির জমিতে আনুষ্ঠানিকভাবে ওই শস্য কাটা হয়। ওই উপজেলায় মোট ১৩৩ শতাংশ জমিতে এ জাতের ধান চাষ করা হয়েছে।