গৃহপরিচারিকাকে ধর্ষণ, সেটেলমেন্ট অফিসের উপ-সহকারীর বিরুদ্ধে মামলা

গৃহপরিচারিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসের উপ-সহকারী সেটেলমেন্ট কর্মকর্তা ফেরদৌস খানসহ তার ব্যক্তিগত সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। অভিযুক্ত কর্মকর্তা ঢাকার কাফরুল থানার ইব্রাহীমপুর গ্রামের মৃত ওয়াজেদ আলী খানের ছেলে। সে হরিপুর উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসের আপত্তি কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত। তার সহযোগীর নাম রফিকুল ইসলাম।

মামলার এজাহারে ভুক্তভোগী উল্লেখ করেছেন, হরিপুর উপজেলার টেকনিক্যাল মোড়ে মিরা নামে একজনের বাসা ভাড়া নিয়ে ওই কর্মকর্তা বসবাস করে। তার রান্না ও ঘর পরিষ্কারের কাজ করতেন ভুক্তভোগী। ফেরদৌস খান প্রায়ই তাকে কু-প্রস্তাব দিতো। গত ১০ এপ্রিল (বুধবার) সকাল ৭টার দিকে ওই নারী রান্না করে খাবার টেবিলে রাখলে অভিযুক্তের সহযোগী রফিকুল খাবারের জন্য টেবিলে আসে। এ সময় অজ্ঞাত কারণে রফিকুল রুম থেকে বের হয়ে গেলে ফেরদৌস ঘরের দরজা বন্ধ করে ওই নারীকে জাপটে ধরে ধর্ষণ করে। তখন বাইরে পাহারা দিচ্ছিলো রফিকুল।

আরও উল্লেখ করা হয়, একপর্যায় জোরে চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে এলে ফেরদৌস ও সহযোগী রফিকুল পালিয়ে যায়। পরে অভিযুক্ত কর্মকর্তা বিষয়টি মীমাংসার আশ্বাস দিয়েও কালক্ষেপণ করে। গত ১৩ এপ্রিল হরিপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী। পরে থানা কর্তৃপক্ষ অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ না করে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৭ এপ্রিল ঠাকুরগাঁও জেলা ও দায়রা জজ আদালতে (নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল) মামলা করেন। আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে হরিপুর থানাকে এজাহার হিসেবে গণ্য করে আসামিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশ মতে গত ৫ মে হরিপুর থানা বাদীর অভিযোগটি মামলা হিসেবে রুজু করেন। হরিপুর থানার ওসি তাজুল ইসলাম মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

ঘটনার বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত কর্মকর্তা ফেরদৌস খানের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও বন্ধ পাওয়া যায়।