প্রাথমিকের নিয়োগ পরীক্ষার হল থেকে আটক ২ পরীক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের অভিযোগে আটক দুই প্রার্থীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র সচিবরা। পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার দেখিয়ে শনিবার (৪ জুন) আদালতে সোপর্দ করেছে।

গ্রেফতার পরীক্ষার্থীরা হলেন- ভূরুঙ্গামারী উপজেলার কামাত আঙ্গারিয়া গ্রামের ফাতেমা তুজ জোহরা। তিনি পুলিশ লাইন্স স্কুল কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ছিলেন। অপরজন হলেন- সদরের কালে রেল স্টেশন এলাকার বাসিন্দা তহিদুল হাসান। তিনি রিভারভিউ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ছিলেন।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার (৩ জুন) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা (জেলায় দ্বিতীয় ধাপ) অনুষ্ঠিত হয়। কুড়িগ্রামে ১৮টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এ পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের অভিযোগে বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে ২৪ পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়। এর মধ্যে মোবাইল ফোনে প্রশ্নপত্র ও উত্তর আদান-প্রদানের অভিযোগে এই দুই পরীক্ষার্থীকে আটক করে কর্তৃপক্ষ। মামলা নিয়ে দিনভর নানা নাটকীয়তার পর শুক্রবার মধ্যরাতে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র সচিবরা বাদী হয়ে মামলা করেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, আটক দুই পরীক্ষার্থীর বিরুদ্ধে পাবলিক পরীক্ষা অপরাধ আইন, ১৯৮০ এর ৪/১৩ ধারায় মামলা দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষায় মোবাইল ফোন ব্যবহার করে নকলের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে এ মামলা দেওয়া হয়।

গ্রেফতার ফাতেমা তুজ জোহরার এক আত্মীয় দাবি করেন, জোহরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। দুই বন্ধুর খপ্পরে পড়ে কেন্দ্রে মোবাইল ফোন নিয়ে যান। এর মধ্যে এক বন্ধু অন্য একটি কেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছিল। অপর বন্ধু কেন্দ্রের বাইরে থেকে উত্তর সরবরাহ করছিল। তারা ফোনে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খুলে সেখানে প্রশ্নপত্র ও উত্তর সরবরাহ করেছিল।

অপর একটি সূত্র জানায়, রিভারভিউ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে আটক পরীক্ষার্থী তহিদুল হাসানের কাছ থেকে হলের ভেতর মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। পরে তার ফোনেও বাইরে থেকে উত্তর পত্র আসার প্রমাণ পায় কর্তৃপক্ষ।

কুড়িগ্রাম সদর থানার ওসি খান মো. শাহরিয়ার বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের সচিবরা বাদী হয়ে দুই পরীক্ষার্থীর বিরুদ্ধে পৃথক পৃথক মামলা করেছেন। তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’