বাসায় ডেকে গৃহবধূর চুল কেটে নির্যাতনের অভিযোগ

এক গৃহবধূকে মারধর ও চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার বৈরচুনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তেলিনা সরকার হিমুর বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে পলাতক আছেন ওই চেয়ারম্যান। বুধবার (১৫ জুন) বিকালে ভুক্তভোগীর স্বামী পীরগঞ্জ থানায় ওই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

ভুক্তভোগী গৃহবধূ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বলেন, ‘রবিবার (১২ জুন) রাত ১০টায় স্থানীয় ফারুক ও রুবেলসহ কয়েকজন আমাকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এ সময় তারা আমাকে বলে, চেয়ারম্যান ডাকছেন। আমার নামে বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ রয়েছে। পরে তারা আমাকে একজনের বাসায় নিয়ে যায় এবং সেখানে হিমু চেয়ারম্যানসহ তার কয়েকজন সহযোগী মারধর করে। পরে চেয়ারম্যান আমার মাথার চুল কেটে দেয়। এ ছাড়া চেয়ারম্যান আমাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেয়। এ ঘটনা কাউকে না বলতেও হুমকি দেয়। এরপর থেকে তিন দিন তারা আমাকে ও আমার স্বামীকে বাসায় আটকে রাখে।’

গৃহবধূর স্বামী দাবি করেন, ‘কোনও অপরাধ ছাড়াই আমার স্ত্রীকে চেয়ারম্যানসহ তার ছেলেরা মারধর করে মাথার চুল কেটে দিয়েছে। আমি বাসায় ছিলাম না, এই সুযোগে তারা আমার স্ত্রীকে রাতে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে গেছে। কী কারণে মারধর করলো তা আমরা জানি না। পরে আমরা বাসায় ফিরে এলে তারা আমাদের বাসা থেকে বের হতে দেয় না। বিভিন্ন ধরনের ভয় দেখায়। আজ আমার স্ত্রী বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। আমরা এর সঠিক বিচার চাই।’

পীরগঞ্জ থানার ওসি জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘এ ঘটনা গৃহবধূর স্বামী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেই চেয়ারম্যানের বাসায় আমাদের পুলিশ গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। বর্তমানে চেয়ারম্যানসহ অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছে।’

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান তেলিনা সরকার হিমুর বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলে বন্ধ পাওয়া যায়।