গাইবান্ধার ১১১ বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ

বন্যার কারণে গাইবান্ধার চার উপজেলার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের ১১১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বৃষ্টি ও উজানের ঢলে মাঠ ও শ্রেণিকক্ষে পানি প্রবেশ করায় এসব বিদ্যালয় বন্ধ থাকবে।

মঙ্গলবার (২১ জুন) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. হোসেন আলী বলেন, ‘কয়েকদিন ধরে জেলার চার উপজেলায় আকস্মিক বন্যা শুরু হয়। ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাটসহ অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। বন্যা এলাকার অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চারদিকে পানি। এর মধ্যে কিছু বিদ্যালয়ের মাঠ ও শ্রেণিকক্ষে পানি ঢুকেছে। এ অবস্থায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসতে পারছে না। এ কারণে দুর্গত এলাকার ১১১টি বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে।’

তিনি আরও জানান, বন্ধ ঘোষণা করা বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ৬২টি বিদ্যালয় ফুলছড়ি উপজেলায়। এ ছাড়া সদর উপজেলায় ১৬, সাঘাটায় ৮ ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ২৫টি বিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে যে বিদ্যালয়গুলোতে এখনও পানি ঢোকেনি সেগুলো আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

gaibandha2

বন্যার পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে এসব বিদ্যালয়ে পাঠদান শুরু করা হবে। শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পরে সিদ্ধান্ত নেয়া বলেও জানান তিনি।

এদিকে, কয়েকদিন ধরে নদ-নদীর পানি বেড়ে প্লাবিত হয়েছে গাইবান্ধার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল। সরকারি হিসাবে সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার ২০ ইউনিয়নে কমপক্ষে ৪০ হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন। তলিয়ে গেছে বিস্তীর্ণ এলাকার পাট, বাদাম ও শাক-সবজিসহ বিভিন্ন ফসল। কাঁচা রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় পারাপারে এখন একমাত্র ভরসা নৌকা।

উজানের ঢল অব্যাহত থাকায় গত ২৪ ঘণ্টায় ঘাঘট নদীর পানি শহর পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪৩ সেন্টিমিটার ও যমুনার পানি ফুলছড়ি পয়েন্টে ১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে তিস্তায় বিপৎসীমার ১৬ সেন্টিমিটার ও করতোয়ার পানি ১.১২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মো. আজাদ মিয়া।