নেচে-গেয়ে একাই পদ্মা সেতুর কথা জানাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী

ব্যানার হাতে বাঁশিতে ফুঁ দিতে দিতে নেচে-গেয়ে একাই পদ্মা সেতুর প্রচারণা চালাচ্ছেন পঞ্চগড়ের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম শান্তি নামে এক যুবক। শুক্রবার (২৪ জুন) পঞ্চগড় জেলা শহরসহ বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক ও হাটবাজারে তাকে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আনন্দের কথা প্রচার করতে দেখা গেছে।

এর আগে ২০১৯ সালের ২১ জুলাই পদ্মা সেতু নিয়ে ওঠা গুজব রোধে তেঁতুলিয়া থেকে টেকনাফ পায়ে হেঁটেছিলেন তিনি। আজ মাথায় ও বুকে জাতীয় পতাকা পেঁচিয়ে হাতে ব্যানার ও হ্যান্ড মাইক নিয়ে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন ও এর নির্মাণ ইতিহাস নিয়ে ইতিবাচক কথা বলে যাচ্ছেন তিনি। সঙ্গে বিতরণ করছেন চকলেট। তার এমন ব্যতিক্রমী প্রচারণায় স্থানীয় মানুষের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। 

সাইফুল ইসলাম শান্তি দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্সে অধ্যয়ন করছেন। তিনি পঞ্চগড় জেলার সদর উপজেলার আমলাহার গ্রামের আবদুল মজিদের বড় ছেলে। ২০১৯ সালে পদ্মা সেতুকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী যে গুজব ছড়িয়ে উঠেছিল- সেটির সচেতনতায় তিনি তেঁতুলিয়া থেকে টেকনাফ পায়ে হাঁটেন। তখন রাস্তায় ক্যাম্পেইন করার সময় অনেকে তাকে মলম বিক্রেতা, ইঁদুর মারার ওষুধ বিক্রেতা, হকার ও সরকারের দালাল বলেও টিপ্পনী কেটেছিলেন। এরপরেও প্রচারণা চালিয়ে যান তিনি। টিউশনি আর টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে সাইফুল সেই পদযাত্রা করেছিলেন। তার ডাকনাম অনুসারে এই পদযাত্রাকে ‘শান্তির পদযাত্রা’ বলা হয়। 

সাইফুল ইসলাম শান্তি বলেন, ‘সবচেয়ে আনন্দের বিষয় ১৯৭১ সালে সব ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে বঙ্গবন্ধু যেভাবে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছিলেন, ঠিক সেভাবে শেখ হাসিনা সব ষড়যন্ত্রকে রুখে দিয়ে পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছেন। একজন শেখ হাসিনা সারা বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছেন কীভাবে সব ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে হয়। প্রিয় এলাকাবাসী আপনি আপনার সন্তানকে বাসায় গিয়ে পদ্মা সেতু নির্মাণের ইতিহাস তাদের সামনে তুলে ধরবেন।’

তিনি বলেন, ‘দেশের কল্যাণে নিজেকে শামিল করুন। সবাই দেশকে ভালোবাসুন। সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। অবশ্যই আগামী ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন আনন্দে শামিল হোন। জয়বাংলা।’