ছাত্রলীগকর্মীকে হত্যা, ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা 

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার বেলগাছা ইউনিয়নে শামীম আশরাফ বাবলু (২৩) নামে এক ছাত্রলীগকর্মীকে হত্যার অভিযোগে একই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লিটন মিয়াসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গত সোমবার (২৮ জুন) সংঘটিত এ হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যানসহ অন্য আসামিদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে জেলা ছাত্রলীগ ও স্থানীয়রা। বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) দুপুরে কুড়িগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে এ দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

ছাত্রলীগকর্মী হত্যার আসামিদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন নিহত ছাত্রলীগ কর্মী বাবলুর মা মনোয়ারা বেগম, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাজু আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনসহ অন্যান্য ছাত্রলীগ নেতারা।

নিহত শামীম আশরাফ বাবলু সদরের বেলগাছা ইউনিয়নের নীলকণ্ঠ গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে। তিনি মজিদা আদর্শ ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কর্মী ছিলেন। 

মামলা সূত্রে জানা যায়, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার বেলগাছা ইউনিয়নে ছাত্রলীগ কর্মী বাবলুর বাবার সঙ্গে স্থানীয় এক নারীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগ এনে গত ২৮ জুন রাতে সালিশ বৈঠক করেন বেলগাছা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লিটন মিয়া। বৈঠকে নিহত বাবলুর পরিবার উপস্থিত না হওয়ায় চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে তার অনুসারীরা তাদের বাড়িতে ওই নারীকে জোর করে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় বাবলু ও তার পরিবারের লোকজন ওই নারীকে ঘরে প্রবেশে বাধা দেয়। পরে চেয়ারম্যানের হুকুমে অভিযুক্তরা বাবলু ও তার পরিবারের লোকজনের ওপর হামলা চালায়। এ সময় মাথায় ও বুকে আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হন ছাত্রলীগ কর্মী বাবলু। তাকে উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

পরদিন (২৯ জুন) সকালে রংপুর মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে দফায় দফায় বিক্ষোভ করে জেলা ছাত্রলীগ। পরে নিহতের বড় ভাই মশিউর রহমান বাবু বাদী হয়ে বেলগাছা ইউপি চেয়ারম্যান লিটন মিয়াসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৫-৭ জনের বিরুদ্ধে কুড়িগ্রাম সদর থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় রাশেদা বেগমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

কুড়িগ্রাম সদর থানার পুলিশ পরির্দশক (তদন্ত) গোলাম মর্তুজা বলেন, ‘বাবলু হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে এজাহার নামীয় এক নারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের চেষ্টা চলছে।’