রংপুরে গরমে জনজীবন বিপর্যস্ত, হাসপাতালে বাড়ছে রোগী

রংপুরে স্মরণকালের প্রচণ্ড গরম আর তাপদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বুধবার (১৩ জুলাই) রংপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। এদিকে তাপদাহ ও গরমে রংপুরের বাসিন্দারা ডায়রিয়া, হিট স্ট্রোকসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। এ অবস্থায় চিকিৎসকরা গরমে প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বের না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। 

রংপুর আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজার রহমান জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে রংপুর অঞ্চলে অস্বাভাবিক আবহাওয়া বিরাজ করছে। প্রচণ্ড তাপদাহ ও গরম বাতাসে তাপমাত্রা বুধবার দুপুর ৩টার দিকে ৩৮  ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করেছে। যেভাবে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে করে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। 

তিনি বলেন, সূর্য কিরণ লম্বালম্বিভাবে আসায় গরম তীব্র অনুভব হচ্ছে। বিশেষ করে গরম বাতাস স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে ব্যাহত করছে। এ তাপমাত্রা বৃদ্ধি আরও ২/৩ দিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানান তিনি।

এদিকে রংপুরের সিভিল সার্জন ডা. শামিম আহাম্মেদ বলেন, সকালেই তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করায় রংপুরে আজ প্রচণ্ড গরম অনুভব হচ্ছে। এ অস্বাভাবিক আবহাওয়ায় প্রয়োজন ছাড়া কাউকে বাড়ি থেকে বের না হওয়ার পরামর্শ দেওযা যাচ্ছে। বিশেষ করে স্কুলের শিক্ষার্থীদের আরও সতর্কভাবে চলাফেরা করতে হবে। দুপুরের পর কোনও অবস্থাতেই যেন বাইরে তাদের না থাকতে হয় সেভাবেই শিক্ষকদের পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। অন্যদিকে এ সময় বেশি করে পানি পান,  ঠাণ্ডা জাতীয় পানীয় বিশেষ করে লেবুর শরবত, ডাবেরপানি বেশি করে পান করার পরামর্শ দেন তিনি। 

এদিকে প্রচন্ড তাপদাহের কারণে নগরীর সড়কগুলোতে মানুষের উপস্থিতি কম। বড় বড় শপিং মলগুলো খদ্দের শূন্য হয়ে পড়েছে। তবে এ গরমে স্বল্প আয়ের মানুষ বিশেষ করে ক্ষেতমজুর ও শ্রমিকরা হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হচ্ছেন বলে চিকিৎসকরা জানান। 

রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ  সূত্রে জানা গেছে প্রচণ্ড গরমের কারণে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। গত দুদিন ২৩ জন রোগী হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। 

কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সাইফুল ইসলাম বলেন, গরমে অনেকেই হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন। তাই এ সময় সবাধানে চলাফেরা ও বেশি বেশি পানি পান করতে হবে।