ঝাঁজ কমেছে মরিচের, শসার কেজি ৪০ 

চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কমের অজুহাতে ডাবল সেঞ্চুরি করা কাঁচা মরিচের দাম কমেছে। হিলিতে তিন দিনের ব্যবধানে মরিচের দাম কমেছে কেজিতে ৮০ টাকা করে। ২০০ টাকার মরিচ এখন ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে দাম কমেছে শসার। ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও এখন তা কমে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 

ক্রেতা মাহবুব হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ঈদের বেশ কয়েকদিন আগে কাঁচা মরিচ কিনছিলাম ৪০-৫০টাকা কেজি দরে। তবে ঈদের ঠিক আগ মুহূর্তে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয় সেই কাঁচা মরিচ। তবে ঈদের পর একটু একটু করে দাম কমছে। বর্তমানে ১২০ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে। 

এদিকে হিলি বাজারে শসা কিনতে আসা সুজন হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ঈদে অন্যান্য উপকরণের সঙ্গে শসারও বেশ চাহিদা থাকে। এ অবস্থায় ঈদের আগমুহূর্তে ৮০ টাক কেজি দরে শসা বিক্রি হয়েছে। তবে এখন আবার কমে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দাম বাড়ানোর বিষয়টি ব্যবসায়ীদের কারসাজি বলে অভিযোগ করেন তিনি। 

বিক্রেতা বিপ্লব শেখ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, গতকয়েকদিন ধরে প্রচণ্ড তাপদাহ বিরাজ করছে। এতে করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কাঁচা মরিচের গাছ নষ্ট হয়ে উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। এর ওপর ঈদের কারণে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মরিচের চাহিদা বেড়ে যায়। এ কারণে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কমে আসায় দাম ঊর্ধ্বমুখী ছিল। ঈদ শেষে কাঁচা মরিচের চাহিদা কমে আসায় এবং পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় দাম কমতে শুরু করেছে। আবহাওয়া ভালো হলে এবং উৎপাদন বাড়লে দাম আরও কমে আসবে বলে জানান তিনি।  

হিলি বাজারের সবজি বিক্রেতা আব্দুল খালেক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আমরা সাধারণত পার্শ্ববর্তী বিরামপুর ও পাঁচবিবি হাট থেকে পণ্য কিনে হিলি বাজারে বিক্রি করি। ঈদের কারণে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শসার চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় পাইকাররা এসব মোকাম থেকে কিনে সেসব স্থানে সরবরাহ করছিলেন। এতে চাহিদার তুলনায় পণ্যটির সরবরাহ কমায় দাম দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছিল। বর্তমানে সরবরাহ বাড়ায় দাম স্বাভাবিক অবস্থায় এসেছে।