নুপুর-কালাপাহাড়ের ঘরে এলো প্রথম সন্তান

রংপুর চিড়িয়াখানায় জলহস্তি নুপুর ও কালাপাহাড় দম্পতি প্রথমবার বাচ্চা প্রসব করেছে। বৃহস্পতিবার সকালে বাচ্চাটির জন্ম হয়। বিষয়টি জানাজানি হবার পর জলহস্তির বাচ্চা দেখতে চিড়িয়াখানায় অনেকেই ভিড় জমিয়েছেন।

৮ মাস আগে গর্ভধারণ করে নুপুর। বর্তমানে তার সঙ্গী লিয়ন ওরফে কালোপাহাড়কে আলাদা করে রাখা হয়েছে।

রংপুর চিড়িয়াখানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা.শাহাদৎ হোসেন জানান, বয়সজনিত কারণে একটি জলহস্তির মৃত্যুর পর নুপুর ও কালোপাহাড়কে ঢাকা চিড়িয়াখানা থেকে নিয়ে আসা হয়। কলোপাহাড়ের জন্ম ২০১৪ সালের ৮ ডিসেম্বর ও নুপুরের ২০১৭ সালের ১১ জুলাই। তাদের আদিনিবাস কেনিয়ায়। স্ত্রী জলহস্তি ৪ থেকে ৫ বছর ও পুরুষ ৭ থেকে ৮ বছরের মধ্যে সন্তান জন্মদানের সক্ষমতা অর্জন করে। ১৯০ থেকে ২৪০ দিন গর্ভধারণের পর পানিতেই একটি বাচ্চা প্রসব করে থাকে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টা ১৫ মিনিটে জলহস্তি নুপুর বাচ্চাটি প্রসব করে। বাচ্চাটি কোন লিঙ্গের তা এখনও নিশ্চিত নয়।

বাচ্চার সঙ্গে জলহস্তি নুপুর

রংপুর চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডা. আম্বার আলী বলেন, ‘রংপুর চিড়িয়াখানা ২৫ বছর আগে প্রতিষ্ঠা লাভ করলেও জলহস্তি কখনোই বাচ্চা প্রসব করেনি। এবারই প্রথম বাচ্চা প্রসব করেছে আমরা সার্বক্ষনিক নজর রাখছি’।

এদিকে জলহস্তি বাচ্চা প্রসব করার ঘটনা নগরীতে জানাজানি হলে চিড়িয়াখানায় ভিড় বাড়তে শুরু করে। নগরীর মুন্সিপাড়ার শিশু সাজ্জাদ জানান জলহস্তির বাচ্চাটি মায়ের মতো মনে হচ্ছে। তাকে খুবই ভালো লাগছে। একই কথা জানালেন নগরীর গুপ্তপাড়া থেকে আসা শিশু সানিয়াসহ অনেকে।

রংপুর চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডা. আম্বার আলী জানালেন, চিড়িয়াখানায় এক জোড়া ঘোড়া থেকে এখন ৪টি ও গাধার জুটি থেকে ৬টিতে দাঁড়িয়েছে। এখন ৩টি গাধা গর্ভধারণ করেছে। আরও এক জোড়া বাঘ চট্টগ্রাম থেকে রংপুর চিড়িয়াখানায় আসবে বলে জানান তিনি। রংপুর চিড়িয়াখানায় বর্তমানে ৩১টি প্রজাতির ২৫১টি প্রাণী রয়েছে।