সাজা শেষ হলেও দেশে ফিরতে পারছেন না ৭ ভারতীয়

বাংলাদেশে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের দায়ে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ভোগের সময় পেরিয়ে গেলেও দেশে ফিরতে পারছেন না সাত ভারতীয় নাগরিক। কুড়িগ্রাম কারাগারে বন্দি রয়েছেন তারা। তবে এরই মধ্যে আলম মিয়া নামে এক ভারতীয়কে দেশে ফেরত পাঠিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। 

গত ২ জুন লালমনিরহাট বুড়িমারী-চেংড়াবন্দা ইমিগ্রেশন পয়েন্ট দিয়ে তাকে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়। কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারের জেলার আবু সায়েম এসব তথ্য জানিয়েছেন।

মুক্তি পেয়ে ভারতে ফিরে যাওয়া আলম মিয়ার বাড়ি কুচবিহার জেলার সাহেবগঞ্জ থানার সাদিয়ালের কুটি গ্রামে। তার বাবার নাম দুদু মিয়া। ২০২১ সালের ২১ মে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে আটক হলে চার মাসের কারাদণ্ড হয় আলমের। আলমের সাজার মেয়াদ শেষ হয় একই বছর ২২ সেপ্টেম্বর। কিন্তু প্রত্যাবাসন জটিলতায় তাকে অতিরিক্ত আট মাস কারাগারে বন্দি থাকতে হয়। শেষে গত ২ জুন দেশে ফেরেন।

কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, সাজার মেয়াদ শেষ হলেও জেলা কারাগারে আরও সাত ভারতীয় বন্দি প্রত্যাবাসনের অপেক্ষায় রয়েছেন। এর মধ্যে নুরুজ্জামান নামে আরও একজনের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে ভারতীয় হাইকমিশনের সম্মতি পাওয়া গেছে। যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে পুশব্যাকের তারিখ পাওয়া গেলে তাকে ভারতে ফেরত পাঠানো হবে। নুরুজ্জামান ভারতের আসামের ধুবরি জেলার হাট শিঙ্গিমারি থানার কানাইমারা গ্রামের ছরুদ আলীর ছেলে। অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে আটক নুরুজ্জামান ২০২১ সালের ৪ জানুয়ারি থেকে কারাভোগ করছেন। তার দুই মাস ১৫ দিনের সাজা শেষ হয়েছে ২০২১ সালের ১৯ মার্চ। কিন্তু সাজার মেয়াদ শেষ হলেও প্রত্যাবাসন জটিলতায় এক বছর চার মাস ধরে কারাবন্দি রয়েছেন।

কারা কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও যারা কারাগারে বন্দি থাকেন তারা মূলত রিলিজড ফরেন প্রিজনার। পুশব্যাকের সম্মতি না পাওয়া পর্যন্ত তাদের ফেরত পাঠানো যায় না। ফলে সাজার মেয়াদ শেষ হলেও তাদের কারাগারেই থাকতে হয়। কোনও ভারতীয় (বিদেশি) বন্দির সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই বিষয়টি কারা অধিদফতরকে জানানো হয়। কর্তৃপক্ষ সেটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হয়ে সংশ্লিষ্ট দেশের দূতাবাসকে জানায়। পরবর্তী সময়ে বিজিবি ও ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সমন্বয়ে বন্দি হস্তান্তর করা হয়।

জেলার আবু সায়েম বলেন, ‘সাত জনের মধ্যে একজনকে দেশে পাঠানোর অনুমতি পাওয়া গেছে। অপর ছয় ভারতীয় বন্দির বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে মুক্তির নির্দেশনা পাওয়া গেলেও ভারতীয় হাইকমিশনের চিঠি পাওয়া যায়নি। ফলে তাদের দেশে পাঠানো যাচ্ছে না। ভারতীয় কর্তৃপক্ষের চিঠি পাওয়ার পর তাদের দেশে পাঠানো হবে।’

/এএম/