অস্ত্রের মুখে নারীকে ধর্ষণের ১৫ বছর পর আসামি গ্রেফতার

রংপুর নগরীর তাজহাট এলাকায় এক গৃহবধূকে অস্ত্রের মুখে রিকশা থেকে নামিয়ে ধর্ষণের মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মমিনুল ইসলাম বাবুকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। শনিবার (৬ আগস্ট) রংপুর র‌্যাব-১৩ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মাহমুদ বশীর আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

র‌্যাব জানায়, ২০০৭ সালের ২৬ মে তাজহাট যক্ষ্মা হাসপাতাল এলাকায় এক নারীকে অস্ত্রের মুখে রিকশা থেকে নামিয়ে নগরীর খামার এলাকার একটি ঘরে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। সে সময় ভুক্তভোগীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে আসাদুল নামে একজনকে আটক করে। অন্যান্যরা পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী কোতোয়ালী থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে আসাদুলকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। ওই  ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে কোতোয়ালী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। ভুক্তভোগীর স্বাস্থ্য পরীক্ষায়ও ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়।

মামলাটি তদন্তকালে তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা ২০০৭ সালের ১০ সেপ্টেম্বর মমিনুল ইসলাম বাবু, আসাদুল ইসলাম ও রঞ্জু মিয়ার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেন। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে মামলাটির বিচারকার্য চলে। মোট ১২ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দেন। চলতি বছরের জুলাইয়ে বিচারক আসামি বাবু, আসাদুল ও রঞ্জুকে দোষী সাব্যস্ত করে প্রত্যেককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন। রায় ঘোষণা সময় বাকি দুই আসামি আদালতে উপস্থিত থাকলেও পলাতক ছিল বাবু। মমিনুল ইসলাম বাবুর বিরুদ্ধে ধর্ষণের এই মামলা ছাড়াও ডাকাতির দুটি, চুরির দুটি ও মাদকের একটি মামলা রয়েছে।

র‌্যাব জানায়, এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব-১৩ এর একটি দল উক্ত ঘটনার বিষয়ে গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে। এরই আলোকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে রংপুর নগরীর তাজহাট থানাধীন লালবাগ রেলগেট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তেকে গ্রেফতার করে। আসামিকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন র‍্যাব কর্মকর্তা মাহমুদ বশীর আহমেদ।