একদিনে এলো ৫৮ টন কাঁচা মরিচ, কমলো দাম

দীর্ঘ ৯ মাস বন্ধের পর দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি শুরু হয়েছে। শনিবার (৬ আগস্ট) প্রথম দিনেই বন্দর দিয়ে ৯টি ট্রাকে ৫৮ টন কাঁচা মরিচ আমদানি হয়েছে। এতে খুচরা বাজারে ৬০ টাকা কমে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা দরে।

হিলি বাজারে কাঁচা মরিচ কিনতে আসা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‌‘প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছিল কাঁচা মরিচের দাম। কয়েক দিনের ব্যবধানে কেজিপ্রতি ২৫০ টাকায় গিয়ে দাঁড়িয়েছিল। এতে কাঁচা মরিচ কিনে খাওয়া অসম্ভব ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। ভারত থেকে আমদানির ফলে দাম ১৬০ টাকায় নেমেছে। আরও কমলে আমাদের জন্য ভালো হয়।’

কাঁচা মরিচ বিক্রেতা বিপ্লব শেখ বলেন, ‘বন্দর দিয়ে বেশ কিছু দিন ধরে কাঁচা মরিচ আমদানি বন্ধ থাকায় দেশের বিভিন্ন মোকাম থেকে সংগ্রহ করে বিক্রি করছিলাম। কিন্তু গত কয়েক দিন ধরে সরবরাহ কমায় দাম অনেক বেড়ে যায়। গতকাল আবারও বন্দর দিয়ে কাঁচা মরিচ আমদানি শুরু হওয়ায় এর প্রভাব পড়েছে বাজারে। একদিনের ব্যবধানে দাম ৬০ টাকা কমে গেছে। গতকাল ২২০ টাকা কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হলেও আজ তা কমে ১৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দাম কমায় বিক্রিও বেড়েছে আগের তুলনায়।’

হিলি স্থলবন্দরের কাঁচা মরিচ আমদানিকারক আনোয়ার হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘দেশের কাঁচা মরিচের দাম কম থাকায় বেশ কিছু দিন ধরেই ভারত থেকে আমদানি বন্ধ ছিল। কিন্তু সম্প্রতি কিছু দিন ধরে প্রচণ্ড গরম, খরা ও অতিবৃষ্টির কারণে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মরিচের আবাদ নষ্ট হওয়ায় উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। এ কারণে বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহ কমে গিয়ে দাম ২৫০ টাকায় গিয়ে দাঁড়ায়। বাজার নিয়ন্ত্রণে গত বৃহস্পতিবার আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। হিলি স্থলবন্দরের দুই জন আমদানিকারক দেড় হাজার টন কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি পান। পরে আরও একজন আমদানিকারক এক হাজার টন আমদানির অনুমতি পান। 

তিনি আরও বলেন, ‘অনুমতি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সঙ্গে এলসি খুলে শনিবার থেকে বন্দর দিয়ে কাঁচা মরিচ আমদানি শুরু হয়েছে। প্রতিটন ভারতের বিহার থেকে ১৫০ থেকে ২০০ মার্কিন ডলার মূল্যে আমদানি করা হচ্ছে। ৫০০ মার্কিন ডলার মূল্য ধরে কাস্টমস শুল্কায়ন করায় প্রতি কেজিতে ২৮ টাকা শুল্ক পরিশোধ করতে হচ্ছে। আমদানির ফলে ইতোমধ্যে দেশের বাজারে কাঁচা মরিচের দাম কমতে শুরু করেছে।’

হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, ‘আজও বন্দর দিয়ে কাঁচা মরিচ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। কাস্টমসের সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আমদানিকারকরা দ্রুত যেন কাঁচা মরিচ খালাস করে নিতে পারেন, সেজন্য বন্দর কর্তৃপক্ষ সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে।’