বাবা-ছেলেসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৫) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় বাবা-ছেলেসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে। শনিবার গভীর রাতে পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার পুরাতন আটোয়ারী এলাকার বন্দরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর বাড়ি তেঁতুলিয়া উপজেলায়। বর্তমানে সে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় রবিবার সকালে আটোয়ারী থানায় এজাহার দায়ের করেছে স্কুলছাত্রীর পরিবার। তবে এখনও মামলা নথিভুক্ত করা হয়নি।

এজাহারে উল্লেখিত অভিযুক্তরা হলো, আটোয়ারী উপজেলার পুরাতন আটোয়ারী মালগোবা গ্রামের মৃত আমিনার রহমানের ছেলে মো. হাসান (২৫), একই এলাকার ফতেহপুর গ্রামের খামির উদ্দিনের ছেলে মো. সবুজ (৩০), আব্দুর রহমান (৫০), তার ছেলে আমিনুল ইসলাম ডিপজল (২৫), খাজিম উদ্দিনের ছেলে মো. নজরুল (৪০) ও কৈলাসের ছেলে ওমর (৩০)।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, এক বছর আগে মালগোবা গ্রামের হাসানের সঙ্গে মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক হয় ছাত্রীর। মামার বাড়িতে যাওয়া আসার সুবাদে হাসানের সঙ্গে তার দেখা হয়েছিল। শনিবার সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে স্কুলে গিয়েছিল ছাত্রী। দুপুরে মোবাইলে কল দিয়ে বিয়ের কথা বলে তাকে পঞ্চগড়ে ডেকে নেয় হাসান। বিকালে পঞ্চগড় পৌঁছালে কাজি অফিসে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে রাত ৮টার দিকে বন্দরপাড়া গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে হাসান ও তার বন্ধু সবুজ ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। এ সময় ওই এলাকার আব্দুর রহমান, তার ছেলে আমিনুল ইসলাম, তাদের প্রতিবেশী নজরুল ও ওমর সেখানে উপস্থিত হলে হাসান ও সবুজ পালিয়ে যায়। এই সুযোগে ছাত্রীকে ধর্ষণ করে তারাও।

একপর্যায়ে তাকে ফেলে সবাই পালিয়ে যায়। গভীর রাতে মান্নান নামে এক পথচারী ছাত্রীকে উদ্ধার করে বন্দরপাড়া গ্রামের নায়েব আলীর বাড়িতে নিয়ে যান। পরে নায়েব আলী ছাত্রীর খালুকে খবর দেন। ভোরে ওই ছাত্রীকে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার মো. ইউসুফ আলী বলেন, ‘এজাহার গ্রহণ করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু হয়েছে। এরইমধ্যে সন্দেহভাজন দুজনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত সবাইকে গ্রেফতারের পর সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানানো হবে। একইসঙ্গে মামলা নথিভুক্ত করা হবে।’