গাজীপুরের শ্রীপুরে বেশি টাকা বেতনে চাকরির লোভ দেখিয়ে পোশাকশ্রমিক কিশোরীকে (১৪) ধর্ষণের অভিযোগে শ্রীপুর থানায় মামলা রুজু হয়েছে। এ ঘটনায় করা মামলায় ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথের নিরাপত্তাকর্মী লিটন মিয়াকে (৪০) আসামি করা হয়েছে। সোমবার (১৬ জুন) দুপুর ১২টায় ভুক্তভোগীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।
আসামি লিটন মিয়া ময়মনসিংহের গফরগাঁও (পাগলা) থানার ডুবাইল গ্রামের আব্দুল আউয়ালের ছেলে। সে শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের মুলাইদ গ্রামের আতাবুদ্দিন মুছার বাড়িতে ভাড়া থেকে তালহা স্পিনিং মিলস লিমিটেড কারখানার ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথে নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে চাকরি করতো।
রবিবার (১৫ জুন) সকাল উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের মুলাইদ গ্রামের তালহা স্পিনিং মিলস লিমিটেড কারখানার ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথের ভেতর এ ঘটনা ঘটে। এ দিন রাত সাড়ে ১১ টার দিকে কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে মামলা রুজু করেন। শ্রীপুর থানার ওসি (তদন্ত) শামীম আকতার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বাদী ভিকটিমের বাবা এজাহারে উল্লেখ করেন, তার মেয়ে স্থানীয় একতা কারখানায় ৬ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করতো। ওই কারখানায় চাকরি করা অবস্থায় তালহা স্পিনিং মিলস্ লিমিটেড কারখানার ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে নিয়মিত টাকা উত্তোলন করতো। এক পর্যায়ে ওই বুথের নিরাপত্তাকর্মী ভিকটিমের সঙ্গে পরিচয় হলে তাকে বেশি টাকা বেতনে তালহা স্পিনিং মিলস্ লিমিটেডে চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দেয়। রবিবার সকাল ৬টায় আসামী লিটন মিয়া ভুক্তভোগীর বাবার মোবাইল ফোনে কল করে তার মেয়েকে এটিএম বুথে পাঠাতে বলে এবং তাকে ১২ হাজার টাকা বেতনের চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়।
আসামির কথায় মেয়েকে তালহা কারখানার এটিএম বুথে পাঠিয়ে দেই। সকালে আমার মেয়েকে ওই এটিএম বুথের ভেতরে পাশের থাই গ্লাস দিয়ে আটকানো কক্ষে নিয়ে হত্যার হুমকি দিয়ে ধর্ষণ করে। পরে ভুক্তভোগী বাড়িতে গিয়ে তার বাবাকে ঘটনা জানায়।
শ্রীপুর থানার ওসি শামীম আকতার বলেন, ঘটনার পর থেকে আসামি ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথের নিরাপত্তাকর্মী লিটন মিয়া কর্মস্থল ছেড়ে পলাতক রয়েছে।