সাংবাদিককে হুমকি, পিআইও নুরুন্নবীর বিরুদ্ধে জিডি তদন্তের নির্দেশ 

রংপুরে আদালতের বারান্দায় গাইবান্ধার পাঁচ সাংবাদিককে অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও হুমকির ঘটনায় সুন্দরগঞ্জের সাবেক প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) নুরুন্নবী সরকারের বিরুদ্ধে করা সাধারণ ডায়েরি (জিডি) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (১৭ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রংপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-১ম আদালতের বিচারক মো. জাহাঙ্গীর আলম শুনানি শেষে এই আদেশ দেন। 

এসময় আদালতে যমুনা টেলিভিশনের গাইবান্ধা প্রতিনিধি জিল্লুর রহমান পলাশ উপস্থিত ছিলেন। 

এরআগে, পিআইও নুরুন্নবী সরকারের বিরুদ্ধে গত ২ আগস্ট রংপুর কোতোয়ালি থানায় জিডি (নম্বর-৩৭৭) করেন সাংবাদিক জিল্লুর রহমান পলাশ। প্রাথমিক তদন্ত শেষে পুলিশ গত ৫ আগস্ট জিডিটি থানায় সাধারণ ডায়েরিভুক্ত করে। জিডি তদন্তের জন্য অনুমতি চেয়ে গত ৮ আগস্ট আদালতে পাঠান কোতোয়ালি থানার এসআই বিজন। 
 
বিষয়টি নিশ্চিত করে সাংবাদিক পলাশের আইনজীবী মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক জিডি তদন্তের নির্দেশ দেন।

আদালতের বারান্দায় গণমাধ্যমকর্মীদের দেখে নেওয়ার হুমকি পিআইও নুরুন্নবীর

জিডিতে উল্লেখ করা হয়, গত ২ আগস্ট দুপুরে রংপুর অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মানহানির মামলার (চার্জ শুনানি) হাজিরা দিতে যান জিল্লুর রহমান পলাশসহ গাইবান্ধার পাঁচ সাংবাদিক। এ সময় আদালতের বারান্দার ক্যান্টিনের সামনে সাংবাদিকদের গালাগালি করেন পিআইও নুরুন্নবী। এক পর্যায়ে তিনি পলাশসহ অন্যদের বলেন, ‘তোকে দেখে নেবো, তোকে এবার মজা দেখাবো। তুই ১৫০ বান্ডিলকে ৫২০ বান্ডিল দেখিয়ে মিথ্যা নিউজ করেছিস, তুই আমাকে হয়রানি করেছিস, এখন আদালতে এসে হয়রানি হ।’  

প্রসঙ্গত, ঘুষ-দুর্নীতিতে আলোচিত নুরুন্নবী সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক প্রতিবেদন প্রচার করে যমুনা টেলিভিশনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যম। তদন্তে আর্থিক দুর্নীতিসহ একাধিক অভিযোগের প্রমাণ মেলায় তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় দুটি মামলাসহ লঘুদণ্ড দেয় অধিদফতর। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে ১২ সাংবাদিকের নামে রংপুর আদালতে মানহানির দুটি মামলা করেন তিনি। আদালতের নির্দেশে তদন্ত শেষে সাত জনকে অব্যাহতি দিয়ে সাংবাদিক পলাশসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন জমা দেয় পিবিআই।