রংপুরে চাঁদা না দেওয়ায় ৩ দোকান ভাঙচুর, প্রতিবাদে সড়কে ব্যবসায়ীরা

রংপুর নগরীর গণেশপুর এলাকায় চাঁদা না দেওয়া তিনটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালানোর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহিন মিয়া এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।  এ ঘটনায় সড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা। তারা দ্রুততম সময়ের মধ্যে শাহিনকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সড়ক আটকে বিক্ষোভ করছিলেন ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা। 

রংপুর মেট্রোপলিটনের কোতোয়ালি থানার ওসি মাহফুজার রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসী শাহিনকে রাতের মধ্যে গ্রেফতার করা হবে, এ জন্য অভিযান চলছে।’

পুলিশ ও ব্যবসায়ীরা জানান, শ্রমিক নেতা শাহিন প্রায়ই গণেশপুর এলাকায় বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে চাঁদা আদায় করেন। টাকা না দিলে মারধর ও দোকানে ভাঙচুর চালায়। শুক্রবার রাত ৯টার দিকে গনেশপুর ক্লাব মোড় এলাকায় ব্যবসায়ী নুর হোসেন, কামরুজ্জামান ও সিরাজুল ইসলামের দোকানে গিয়ে প্রত্যেকের কাছে ১০ হাজার টাকা করে চাঁদা দাবি করে। তারা টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে শাহিন ও তার অনুসারীরা তিনটি দোকানে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। 

এ সময় মারধরে তিন ব্যবসায়ী আহত হন। পরে অন্য ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা এগিয়ে এলে শাহিন ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। ঘটনার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু হয়। এ সময় সড়কে বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড দেওয়া হয়। এতে ওই সড়ক দিয়ে ঢাকাগামী বাসসহ সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানার ওসি মাহফুজার রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করছেন। তবে স্থানীয়রা শাহিনকে গ্রেফতার না করা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার না করার ঘোষণা দিয়েছে। 

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, শাহিন এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। সব সময় সে অস্ত্র নিয়ে চলাফেরা করে। তার অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। 

ওসি মাহফুজার রহমান বলেন, শাহিন ব্যবসায়ীদের চাঁদার দাবিতে মারধর করেছে। বয়স্ক ব্যবসায়ীকে মেরেছে। ব্যবসায়ীদের বলেছি লিখিত অভিযোগ দেওয়ার জন্য। অবরোদকারীদের বুঝিয়ে উঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। আর রাতের মধ্যেই শাহিনকে ধরার জন্য অভিযান শুরু হয়েছে বলে জানান তিনি।