একদিনের ব্যবধানে বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম 

দিনাজপুরের হিলিতে একদিনের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা। ভারত থেকে আমদানি না হওয়ায় এবং দেশি মরিচের চাহিদা বেশি থাকায় দাম বেড়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। তবে ক্রেতারা বলছেন, একদিন আগেও বাজারে প্রতি কেজি দেশি কাঁচা মরিচ ৭০ থেকে ৭৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আমদানি না হওয়ার সুযোগে তা ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছে ব্যবসায়ীরা। 

এদিকে, দাম বাড়ায় আমদানির মাধ্যমে বাজার স্থিতিশীল রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। 

ইব্রাহিম হোসেন নামে এক ক্রেতা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘কাঁচা মরিচের দাম কমে আসায় আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য সুবিধা হয়েছিল। কিন্তু আবারও দাম বাড়তির দিকে। বাজারে পর্যাপ্ত মরিচের সররবাহ রয়েছে। তারপরও দাম বাড়তি। একদিন কমে তো পরেরদিন বাড়ে। সরবরাহ কমের অজুহাতে এভাবে দাম বাড়ালে আমরা চলবো কীভাবে?

অপর ক্রেতা হাবিব বলেন, ‘রবিবার যে মরিচ ৭০ থেকে ৭৫ টাকায় কিনলাম সোমবার তা ৯০ টাকায় উঠে গেছে। দামটা যেন কম থাকে সেই দাবি জানাচ্ছি।’

হিলি বাজারের কাঁচা মরিচ বিক্রেতা বিপ্লব শেখ বলেন, ‘ভারত থেকে আমদানির পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন স্থানে উৎপাদন ভালো হওয়ায় বাজারে দেশি কাঁচা মরিচের সরবরাহ বেড়েছিল। এতে দামও কমে এসেছিল। কিন্তু গতকাল বন্দর দিয়ে কোনও কাঁচা মরিচ আমদানি হয়নি। এর ফলে বাজারে সররবাহ কম। দেশের বিভিন্ন মোকামে দেশি কাঁচা মরিচের চাহিদা বেড়েছে। এ জন্য দাম কিছুটা বাড়তে শুরু করেছে।’ তবে আমদানি শুরু হলে আবারও দাম কমে আসবে বলে জানান তিনি।

হিলি স্থলবন্দরে কাঁচা মরিচ আমদানিকারকের প্রতিনিধি মাহবুব আলম বলেন, ‘বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমদানির অনুমতি পাওয়ায় ৬ আগস্ট থেকে বন্দর দিয়ে এ পণ্য আমদানি শুরু করেছেন আমদানিকারকরা। এরপর থেকে আমদানি অব্যাহত ছিল। সম্প্রতি বাজারে দেশি কাঁচা মরিচের সরবরাহ বাড়ায় দাম কমে এসেছিল। এ কারণে আমদানি করে লোকসান গুণতে হচ্ছিলেঅ। লোকসান থেকে বাঁচতে গতকালও কাঁচা মরিচ আমদানি হয়নি। তবে আবারও দাম বাড়তি হওয়ায় সোমবার বন্দর দিয়ে কাঁচা মরিচ আমদানি শুরু হয়েছে।’

হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, ‘হিলি স্থলবন্দর দিয়ে রবিবার (২১ আগস্ট) কোনও কাঁচা মরিচ আমদানি হয়নি। একদিন বন্ধের পর সোমবার দুপুর পর্যন্ত এক ট্রাকে ৯ টন কাঁচা মরিচ আমদানি হয়েছে।’