তিস্তার পানির বিজ্ঞানসম্মত বণ্টন দাবি  

রংপুর অঞ্চলের কোটি মানুষের জীবন-জীবিকার অবলম্বন তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে চুক্তি স্বাক্ষর, নিজস্ব অর্থায়নে বিজ্ঞানসম্মতভাবে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নসহ ছয় দফা দাবিতে কর্মসূচি পালিত হয়েছে। সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রংপুর প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ ও মানববন্ধন করেন ‘তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদ’। 

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন তিস্তা বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক অধ্যাক্ষ নজরুল ইসলাম হক্কানী, সাধারণ সম্পাদক শফিয়ার রহমান, গৌতম রায়, রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি শাফিয়ার রহমানসহ অন্যান্যরা। সমাবেশে বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলে তিস্তা নদী বেষ্টিত এলাকায় বসবাসকারী হাজারো মানুষ ও সংগ্রাম পরিষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সমাবেশে যে ৬ দফা উপস্থাপন করা হয় তার মধ্যে রয়েছে- তিস্তা নদী সুরক্ষায় বিজ্ঞানসম্মত মহাপরিকল্পনার দ্রুত বাস্তবায়ন, অভিন্ন নদী হিসেবে ভারতের সঙ্গে ন্যায্য হিস্যার ভিত্তিতে তিস্তা চুক্তি সম্পন্ন, তিস্তা নদীতে সারা বছর পানি প্রবাহ ঠিক রাখতে জলাধার নির্মাণ, তিস্তা নদীর শাখা-প্রশাখা ও উপ-শাখাগুলোর সঙ্গে নদীর সংযোগ স্থাপন ও নৌচলাচল পুনরায় চালু করা, ভূমিদস্যুদের হাত থেকে অবৈধভাবে দখল হওয়া নদীর জমি উদ্ধার করা, নদীর বুকে ও তীরে জেগে ওঠা সমস্ত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, তিস্তার ভাঙন, বন্যা ও খরায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের স্বার্থ সংরক্ষণ করা। নদী ভাঙনের শিকার ভূমিহীন, গৃহহীন, মৎসজীবীসহ নদী ভাঙনে উদ্বাস্তু মানুষের পুর্নবাসনেরও দাবি জানানো হয়। এছাড়া তিস্তা মহাপরিকল্পনায় তিস্তা নদী ও তিস্তা তীরবর্তী কৃষকদের স্বার্থ সুরক্ষায় সমবায় ও কৃষি ভিত্তিক করকারখানা স্থাপন এবং মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং প্রস্তাবিত প্রকল্প এলাকায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তিস্তা পাড়ের মানুষদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার কথাও বলা হয়েছে। 

কর্মসূচি থেকে ছয় দফা দাবি বাস্তবায়নে জোর দাবি জানানো হয়। দাবি বাস্তবায়ন না হলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।