দেশের বাজারে চালের সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে শুধু আতপ চাল রফতানিতে ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে ভারত সরকার। সেদ্ধ চাল রফতানির ক্ষেত্রে কোনও শুল্ক আরোপ করা হয়নি। এর ফলে দেশের চালের বাজারে কোনও প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা।
শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ভারতের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অনিল ঠাকুর বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ভারতের বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে গত বৃহস্পতিবার চাল রফতানির ক্ষেত্রে শুল্ক আরোপের বিষয়টি আমাদের জানানো হয়। এক পত্রের মাধ্যমে শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) থেকেই তা কার্যকর করা হয়েছে। সেই পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, ব্রোকেন রাইস বা ভাঙা চাল (খুদ) রফতানি একেবারে বন্ধ করা হয়েছে। এছাড়া ব্রাউন চালে ২০ শতাংশ ও হাস্ক নামের একটি চাল রয়েছে, তাতে ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। তবে সেদ্ধ চালে কোনও শুল্ক আরোপ করা হয়নি। এ কারণে আগের মতো বন্দর দিয়ে শুল্কমুক্ত পণ্য হিসেবে সেদ্ধ চাল বাংলাদেশে রফতানি অব্যাহত থাকবে।’
হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, গত ২৩ জুলাই থেকে বন্দর দিয়ে চাল আমদানি অব্যাহত রয়েছে। ২৮ আগস্ট চালের আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করে সরকার। এতে চালের আমদানি যেমন বাড়ে তেমনি দেশের বাজারে দাম কমতে শুরু করে। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎ করে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা জানান, চাল রফতানিতে দেশটির সরকার কর্তৃক ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। এটি গতকাল শুক্রবার থেকেই কার্যকর হয়েছে। আজকে সেই আদেশের কপি প্রদানের মাধ্যমে শুল্ক আরোপের বিষয়টি পরিষ্কার করেছেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা।
তিনি আরও জানান, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আতপ ও সেদ্ধ চাল আমদানি হয়। কিন্তু শুধু আতপ চাল রফতানির ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে ভারত। সেদ্ধ চাল আমদানিতে কোনও শুল্ক আরোপ করেনি। এছাড়া ভাঙা চাল রফতানি বন্ধ, ব্রাউন চালে ২০ ভাগ ও হাস্ক নামের চালে ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে, যা এই বন্দর দিয়ে আমদানি হয় না। এতে বন্দর দিয়ে আগের মতো সেদ্ধ চাল আমদানি অব্যাহত থাকবে। এই চালের দাম বাড়ার কোনও আশঙ্কা নেই। আতপ চাল সাধারণত সিলেট-চট্টগ্রাম অঞ্চলের কিছু মানুষ খায়। শুল্ক বাড়ার ফলে কেজিতে ৩-৪ টাকা এই চালের দাম বাড়তে পারে। ভারতীয় ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বাগের টেন্ডারকৃত আতপ চাল শুল্কমুক্ত হিসেবেই রফতানি করবেন তারা।