বিয়ের কথা বলে ডেকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ

বিয়ের কথা বলে কাজী অফিসে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা প্রেমিকাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে জেলার বোদা উপজেলার বোদা ইউনিয়নের প্রসাদখাওয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) ওই তরুণী থানায় নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। মামলার পর পরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত কথিত প্রেমিক ও তার সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে। 

গ্রেফতার দুই জন কথিত প্রেমিক বোদা উপজেলার সিপাইপাড়া এলাকার মহিদুলের ছেলে আব্দুল মালেক (২৫) ও তার সহযোগী বামনপাড়া এলাকার সামসুদ্দিনের ছেলে আলমগীর হোসেন (২২)। আদালতের মাধ্যমে তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বলে সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) নিশ্চিত করেন ওসি সুজয় কুমার রায়।

মামলার এজাহারে ওই তরুণী উল্লেখ করেন, প্রায় দেড় বছর আগে মোবাইল ফোনের রং নম্বরে পরিচয়ের সূত্র ধরে আব্দুল মালেক (২৫) নামে এক যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয়। মালেক বিয়ের কথা বলে নারায়ণগঞ্জ থেকে তরুণীকে পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলায় ডেকে আনে। শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই তরুণী এলে মালেক তার সহযোগী আলমগীরের ইজিবাইকে করে তাকে প্রসাদখাওয়া গ্রামের বাচ্চু মিঞার বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে আপন ও আশরাফুল নামে মালেকের আরও দুই বন্ধু ওই  তরুণীকে পাহারা দেয়। মালেক ওই তরুণীকে বাচ্চু মিঞার বাড়ির পাশে আমবাগানে নিয়ে যায়। সেখানে মালেক সহযোগী আপন, আশরাফুল ও আলমগীরের সহযোগিতায় তরুণীকে ধর্ষণ করে। পরে অন্যরাও এতে অংশ নেয়। এক পর্যায়ে তরুণীর চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় শনিবার রাতেই ওই তরুণী সিপাইপাড়া এলাকার মহিদুলের ছেলে আব্দুল মালেক (২৫), তার বন্ধু প্রসাদ খাওয়া এলাকার রহিদুলের ছেলে মো. আপন (২৫), মালেকের আরেক বন্ধু একই এলাকার মকবুল হোসেনের ছেলে আশরাফুল ইসলাম (৩০), মালেকের সহযোগী বামনপাড়া এলাকার সামসুদ্দিনের ছেলে আলমগীর হোসেনের (২২) নামেসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের বিরুদ্ধে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
 
থানার ওসি সুজয় কুমার রায় বলেন, মামলার পর পরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত প্রধান আসামি মালেক ও তার সহযোগী আলমগীরকে গ্রেফতার করেছে। ওই তরুণীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশি কাজ করছে বলে জানান তিনি।