সব ধরনের চালের দাম কমেছে  

সরকারিভাবে খোলাবাজারে ওএমএসএর মাধ্যমে বিক্রি অব্যাহত থাকায় দিনাজপুরের হিলিতে কমতে শুরু করেছে চালের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে সবধরনের চালের দাম কেজিতে চার থেকে ছয় টাকা করে কমেছে। এদিকে দাম কমায় খুশি নিম্নআয়ের মানুষ। আর খোলাবাজারে চাল বিক্রি অব্যাহত থাকলে দাম বাড়বে না বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

সরেজমিন হিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে প্রতিটি চালের দোকানেই পর্যাপ্ত চালের মজুত রয়েছে। তবে বেচাকেনা তেমন নেই। এতে করে সবধরনের চালের দাম কমতে শুরু করেছে। মিনিকেট জাতের চাল একসপ্তাহ আগে যেখানে ৬৮ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে, তা এখন ৬৪ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া স্বর্ণা-৫ জাতের চাল ৫৪ থেকে ৫৬ টাকা দরে বিক্রি হলেও, তা কমে ৪৯ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ২৯ জাতের চাল ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও বাজারে এখন ৫৫ থেকে ৫৬ টাকা কেজি দরে পাওয়া যাচ্ছে। 

হিলি বাজারে চাল কিনতে আসা লাভলী আকতার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আমার স্বামী ঢাকায় একটি কোম্পানিতে চাকরি করেন। তার একার উপার্জনের অর্থ দিয়ে সংসার খরচসহ ছেলে মেয়েদের পড়ালেখা চালাতে হয়। কিন্তু যে হারে চালের দাম বেড়েছিল তাতে ব্যয় মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছিল। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে চালের দাম কমতে শুরু করেছে। এতে আমাদের মতো মানুষদের ব্যয়ভার মেটানো সুবিধা হবে।

আরেক ক্রেতা সামছুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, বাজারে চাল কিনতে এসে দেখি কয়েকদিন আগে যে দামে চাল কিনেছি, এখন তার চেয়ে কিছুটা কমেছে। কেজি প্রতি চার থেকে ছয় টাকা করে চালের দাম কমে এসেছে। দাম কমায় একটু বেশি করে চাল কিনে রেখেছি। 

বাজারের চাল ব্যবসায়ী সুব্রত কুন্ডু বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, সবধরনের চালের দাম সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে সর্বোচ্চ ছয় টাকা করে কমেছে। এর মূল কারণ সরকার ওএমএসএর মাধ্যমে খোলা বাজারে চাল বিক্রি অব্যাহত রেখেছে। যে পাঁচ কেজি চাল বাজার থেকে ২৫০ টাকায় কিনতে হতো, তা ওএমএসএর মাধ্যমে ১৫০ টাকায় পাওয়া যায়। নিম্নআয়ের মানুষজন কম দামে চাল কিনতে পারায় তারা বাজার থেকে কম চাল কিনছেন। এরই প্রভাব পড়েছে। খোলাবাজারে ওএমএসএর চাল বিক্রি অব্যাহত থাকলে চালের দাম বাড়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানান এই ব্যবসায়ী। 

হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূর-এ আলম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, সারাদেশের ন্যায় হিলিতে গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে ওএমএসএর চাল বিক্রি হচ্ছে। আগামী নভেম্বর মাস পর্যন্ত সপ্তাহে পাঁচ দিন করে মাসে সর্বোচ্চ ২২ দিন করে তিনটি ডিলার পয়েন্টে প্রতিদিন ছয় টন করে চাল সাধারণ মানুষের মধ্যে বিক্রি হবে বলে জানান তিনি।