সয়াবিন তেলের দাম কমলেও সুফল পাননি ভোক্তারা 

বিশ্ববাজারে দাম কমায় দেশের বাজারেও সয়াবিন তেলে লিটার প্রতি ১৪ টাকা কমানোর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তবে ঘোষণার দু’দিন পার হলেও হিলির হাট-বাজারে সেই মূল্য কার্যকর হয়নি। এতে কাজির গরু কেতাবে থাকলেও যেমন গোয়ালে থাকে না, তেমনি ভোক্তারাও দাম কমার সুফল পাচ্ছেন না। এ অবস্থায় ব্যবসায়ীদের দাবি নতুন তেল না আসায় দাম সমন্বয় হয়নি। আর ক্রেতারা বলছেন দাম বাড়লে পরদিনই ব্যবসায়ীরা বেশি দামে বিক্রি করেন, কিন্তু কমালে নানা অজুহাত দেখান। এসব বিষয়ে প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ দাবি করেছেন তারা। 

বাংলাদেশ ভেজিটেবল ওয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন গত সোমবার (৩ অক্টোবর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সয়াবিন তেলের দাম কমানোর কথা জানায়। তারা সয়াবিন তেলের দাম লিটার প্রতি ১৪ টাকা কম করার ঘোষণা দেয়। এতে এক লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৭৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়। বর্তমানে যা বিক্রি হচ্ছে ১৯২ টাকায়। এছাড়া পাঁচ লিটার সয়াবিন তেলের বোতলের দাম ৮৮০ টাকা ও খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১৫৮ টাকা লিটার নির্ধারণ করা হয়। 

নতুন দরে মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) থেকে বাজারে সয়াবিন তেল বিক্রি হবে বলে ব্যবসায়ীদের সংগঠনটি জানায়। তবে এখনও হিলি বাজারের অধিকাংশ দোকানেই আগের বাড়তি দামই রাখা হচ্ছে। তবে বাজারের সব দোকানেই সয়াবিন তেলের যথেষ্ঠ মজুত আছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।

ক্রেতা নুরন্নবী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, সরকার তেলের দাম নাকি লিটার প্রতি ১৪ টাকা কমিয়েছে। তবে ঘোষণার দুই দিন পরেও আমরা কমদামে তেল পাচ্ছি না। আগের দামেই তেল কিনতে হচ্ছে। দোকানদারদের দাবি নতুন তেল এখনও আসেনি, তাই আগের তেল আগের দামেই বিক্রি করছেন। কিন্তু কোনও এটা পণ্যের দাম বাড়ার পরদিনই ব্যবসায়ীরা বাড়তি দামে তা বিক্রি শুরু করে। 

আরেক ক্রেতা আসলাম হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের যে দাম, তাতে আমাদের মতো নিম্নআয়ের মানুষের সংসার চালাতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। সরকার তেলের দাম কমিয়েছে, কিন্তু এখনও বাজারে সেই প্রভাব নেই। বিষয়টিকে ক্রেতাদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের নিছক প্রতারণা বলে দাবি করেন তিনি। 

বাজারের মুদি দোকানি মাহবুবুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, সরকার যে সয়াবিন তেলের দাম কমিয়েছে সেই তেল এখনও আমাদের কাছে আসেনি। আমরা কোম্পানি থেকে কম দামের তেল এখনও পাইনি। নতুন তেল এলে আমরা কম দামেই বিক্রি করবো। 

হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূর-এ আলম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হয়। তারপরেও কেউ যদি সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বাড়তি দামে বিক্রি করা হয়, সেক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।