ফেসবুক মেসেঞ্জারে নারীদের উত্ত্যক্ত, সেই যুবকের বিরুদ্ধে মামলা নিলো পুলিশ

কুড়িগ্রামের উলিপুরে ফেসবুক মেসেঞ্জারে অশ্লীল ছবি ও ভিডিও পাঠিয়ে নারীদের উত্ত্যক্তের অভিযোগে সেই যুবকের বিরুদ্ধে মামলা নিয়েছে পুলিশ। 

লিখিত অভিযোগ দেওয়ার ছয় দিন পর বুধবার (৫ অক্টোবর) পর্নগ্রাফি আইনে মামলা নথিভুক্ত করে উলিপুর থানা পুলিশ। মামলায় উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা বশির উদ্দিনকে আসামি করা হয়েছে। উলিপুর থানার ওসি শেখ আশরাফুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আসামি বশির উদ্দিন দুর্গাপুর ইউনিয়নের গোড়াই মন্ডলপাড়া গ্রামের ছামছুল হকের ছেলে। মামলার পর থেকে বশির পলাতক রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এর আগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর উলিপুর থানায় বশির উদ্দিনের নামে ভুক্তভোগী নারীদের পরিবার লিখিত অভিযোগ দেয়। অভিযোগ পাওয়ার পাঁচ দিন পরও  কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। এ নিয়ে গত ৪ অক্টোবর ‘ফেসবুকে ছবি-ভিডিও পাঠিয়ে নারীদের উত্ত্যক্ত, অভিযোগ দিলেও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ’ শিরোনামে বাংলা ট্রিবিউনে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। 

এরপর ওই দিন সন্ধ্যায় বাদী ও ভুক্তভোগী এক নারীর স্বামীকে থানায় ডেকে এজাহার নেয় পুলিশ। বুধবার মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়েছে। 

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বশির উদ্দিন তিন-চার মাস আগে এক গৃহবধূর ফেসবুক মেসেঞ্জারে বিভিন্ন অশ্লীল ছবি-ভিডিও পাঠিয়ে তাকে উত্ত্যক্ত করে। বিষয়টি বশিরের পরিবারকে জানিয়ে কোনও সুরাহা না পেয়ে গৃহবধূ তার স্বামীকে জানান এবং ওই যুবকের আইডি ব্লক করে দেন। পরে অভিযুক্ত যুবক নামে-বেনামের আইডি থেকে গৃহবধূকে উত্ত্যক্ত করতে থাকে। এর মধ্যে ওই গৃহবধূর ভাতিজিকে একইভাবে উত্ত্যক্ত করা শুরু করে। তাকেও বিভিন্ন সময় অশ্লীল ছবি-ভিডিও পাঠায়। এ নিয়ে গত ২৯ সেপ্টেম্বর উলিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দেয় ভুক্তভোগীদের পরিবার।

ওসি আশরাফুজ্জামান বলেন, বুধবার পর্নগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের ৮(২) ও ৮(৩) ধারায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। মামলার একমাত্র আসামি বশির উদ্দিন পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

এদিকে, আইনি পদক্ষেপ নেওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা। তারা অবিলম্বে আসামিকে গ্রেফতারের দাবি জানান।