ঝড়ে নুয়ে পড়েছে ক্ষেতের ধান, দুশ্চিন্তায় কৃষক

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে ঝোড়ো হাওয়ায় দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার হিলিতে বেশকিছু জমির ধান নুয়ে পড়েছে। কিছু দিন পরই এসব ধান কেটে ঘরে তোলার কথা ছিল কৃষকদের। কিন্তু তার আগেই নুয়ে পড়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তারা। তবে এতে তেমন ক্ষতি হবে না জানিয়েছে কৃষি অফিস।

সোমবার (২৪ অক্টোবর) সকাল থেকেই হিলির আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ছিল। এরপর দুপুর থেকে শুরু হয় গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি। সন্ধ্যার পর থেকে ঝোড়ো বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টিও বাড়তে থাকে। এতে বেশকিছু এলাকার জমির ধানের গাছ হেলে মাটিতে পড়ে গেছে।

হিলির ইসমাইলপুরের কৃষক আব্দুর রাজ্জাক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‌‘রাতের ঝড়ে আমার জমির ধানের বেশ ক্ষতি হয়েছে। সব ধানের গাছ মাটিতে শুয়ে পড়েছে। শুধু আমার নয়, অনেকের ধানক্ষেতের একই অবস্থা। বিশেষ করে যাদের জমিতে পানি ছিল ও গাছের তলায় ছিল, সেসব জমির ধান একেবারে মাটিতে পড়ে আছে। এর মধ্যে কিছু ধানের গাছ হয়তো উঠতে পরে। তবে যেগুলো একেবারে শুয়ে পড়েছে সেগুলো আর উঠবে না। এসব ধান গরুকে কেটে খাওয়ানো ছাড়া আর কোনও উপায় নেই।’

হিলি-১

আরেক কৃষক আজাহার আলী বলেন, ‘ইতোমধ্যে ধান গাছে শীষ বের হয়ে গেছে। আর কিছু দিনের মধ্যে ধানে পাক ধরতো। কিন্তু গতকালের ঝড়ে আমাদের এলাকার অনেক জমির ধানের গাছ হেলে পড়েছে। হেলে পড়া গাছের ধানের দানা হবে না। আমাদের এই মাঠে শতাধিক বিঘা জমির ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’

হাকিমপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ড. মমতাজ সুলতানা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে হিলিতে কিছু জমির ধান হেলে পড়েছে। তবে তার পরিমাণ এখনও নিরূপণ করা হয়নি। কিছু জমির ধান হেলে পড়লেও সেটি উঠে যাবে। এতে ধানের ফলনে তেমন প্রভাব পড়বে না।’