ভ্রাম্যমাণ আদালতের ‘ভয় দেখিয়ে’ ব্যবসায়ীদের কাছে অর্থ আদায়ের অভিযোগ ওঠা কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা প্রশাসনের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর আব্দুল হাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) কুড়িগ্রাম চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের রৌমারী আমলি আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুমন আলি এ আদেশ দেন। আদালত রংপুর পিবিআইকে তদন্ত করে আগামী ১১ নভেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
গত ৫ অক্টোবর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের নামে এবং ভ্রাম্যমাণ আদালতের ভয় দেখিয়ে উপজেলার দুই মিষ্টির দোকান থেকে অর্থ আদায়ের অভিযোগ ওঠে রৌমারী উপজেলা প্রশাসনের এই অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তাকে রৌমারী বাজারে আটক করেন ব্যবসায়ীরা। পরে দুই ইউপি সদস্যের জিম্মায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ নিয়ে বাংলা ট্রিবিউনসহ কয়েকটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে উপজেলা প্রশাসনকে অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দেয় জেলা প্রশাসন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আব্দুল হাই। তিনি সে সময় গণমাধ্যমের কাছে দাবি করেন, ‘এটা উদ্দেশ্যমূলকভাবে ঘটানো হয়েছে। চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের পরিচয় দিয়ে আমাকে ফোন করে মিষ্টির দোকানদারদের সঙ্গে কথা বলিয়ে দেওয়ার জন্য বলা হয়। ফোন পেয়ে ওই দুই দোকানে যাই। ওই সময় লোকজন জড়ো হয়ে আমাকে আটক করে এবং চাঁদা দাবি করেছি বলে অভিযোগ তোলে। আমি কারও কাছ থেকে টাকা নেইনি।’
আদালত সূত্র জানায়, আব্দুল হাইয়ের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ আমলে নিয়ে আদালত ফৌজদারি কার্যবিধির ১৮৯০ এর ১৯০ (১)(গ) ধারার অধীনে স্যু মুটো মিস কেস করেন। অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য পিবিআই, রংপুরকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার আদেশ দেন।
এই বিষয়ে পিবিআই রংপুরের পুলিশ সুপার এ বি এম জাকির হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বিষয়টি আপনার মাধ্যমে জানলাম। আমরা এখনও আদালতের নির্দেশের কপি পাইনি। আদেশের কপি পেলে নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’