ইউপি সদস্যকে টাকা দিয়েও মেলেনি উপহারের ঘর!

ইউপি সদস্যকে টাকা দিয়েও এক নারী প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পাননি বলে অভিযোগ উঠেছে। আবার মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে সেই ঘর পেয়েছেন সচ্ছলরা। নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার জাহাঙ্গীর কবির ময়নুলের  বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে।

ইউপি সদস্য টাকা নিয়েও ঘর বা টাকা ফেরত না দেওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ভুক্তভোগী মোরশেদার পরিবার। তিনি উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সরদার পাড়া গ্রামের আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী। এই ঘটনায় তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পেতে মোরশেদা ওই ইউপি সদস্যের কাছে গেলে ঘর বাবদ এক লাখ টাকা দাবি করেন। তিনি জাহাঙ্গীরকে নগদ ৩০ হাজার টাকা দেন। এরপর প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপ পেরিয়ে গেলেও ঘর বরাদ্দ না পেয়ে টাকা ফেরত চান। কিন্তু দীর্ঘ তিন মাস ধরে টালবাহানা করছেন জাহাঙ্গীর। ফলে ঘর ও টাকা কোনোটিই না পেয়ে দিশেহারা ভূমিহীন পরিবারটি।

মোরশেদার স্বামী আনোয়ার হোসেন দাবি করেন, জাহাঙ্গীর মেম্বার এক লাখ টাকা চেয়েছিলেন। অগ্রিম ৩০ হাজার টাকা দিয়ে এখনও ঘর পাচ্ছি না। আবার টাকাও দিচ্ছেন না। মোবাইলে এই সংক্রান্ত কথাবার্তার রেকর্ডিং আছে। অথচ টাকার বিনিময়ে অনেক সচ্ছল পরিবারকে ঘর দিয়েছে। তিনি ঘর পাওয়া সচ্ছল কয়েকজনের নামও উল্লেখ করেন। বলেন, তদন্ত করলেই এর প্রমাণ মিলবে।

মোরশেদা দাবি করেন, সুদের ওপর টাকা নিয়ে মেম্বারকে দিলাম। কিন্তু আজো ঘর ও টাকা কোনোটাই ফেরত পেলাম না। বৃহস্পতিবার রাতে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফোন করে বলে যে, টাকা ফেরত পাবেন। কিন্তু কবে পাবো তা বলেননি।

ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর কবির দাবি করেন, ঘর দিয়ে টাকা নেওয়ার অভিযোগ সঠিক নয়। আনোয়ার মূলত, পোড়ারহাট বাজারের একটি দোকান নিতে টাকা দিয়েছে। সেই টাকা ফেরত দেওয়া হবে। আমার প্রতিপক্ষরা অহেতুক হয়রানি করতে এমন অপপ্রচার চালিয়েছে।

ইউএনও ফয়সাল রায়হান বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর শুধুমাত্র অসহায় ভূমিহীনদের জন্য। ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এসেছে, তা তদন্ত করা হবে। তদন্ত করে সত্যতা পাওয়া গেলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।