আগামী বছর গ্যাস পাবে উত্তরের ১১ জেলা

পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান বলেছেন, ২০২৩ সালের জুন মাসের মধ্যে গ্যাস পাবে রংপুর বিভাগের নীলফামারীসহ উত্তরের ১১ জেলার মানুষ। শুক্রবার (১১ নভেম্বর) বিকালে নীলফামারীর সৈয়দপুরে বগুড়া-রংপুর-সৈয়দপুর গ্যাস সঞ্চালন পাইপ লাইন নির্মাণ প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় তিনি এই প্রকল্প নির্ধারিত সময়ে শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের তাগিদ দেন। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ৩৭৮ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।

এ সময় অন্যান্য কর্মকর্তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্রকল্প পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার আরিফুল ইসলাম, ডেপুটি ম্যানেজার আব্দুস সালাম মোল্লা প্রমুখ।

নাজমুল আহসান বলেন, ২০১৮ সালে বগুড়া থেকে রংপুর হয়ে নীলফামারীর ইপিজেড পর্যন্ত গ্যাস লাইন সংযোগের কাজ শুরু হয়। ইতিমধ্যে পাইপলাইন স্থাপনের কাজ প্রায় শেষ। নির্মাণ চলছে সিজিএস-টিবিএস ও রিভার ক্রসিং লাইন স্থাপনের কাজ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগ্রাধিকার ভিত্তিক এই মেগা প্রকল্পের কাজ ২০২১ সালের জুন মাসের মধ্যে শেষ করার কথা ছিল। নানা জটিলতার পর চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হলেও ২০২৩ সালের জুন মাসে প্রকল্পটির কাজ শেষ করে গ্যাস (লাইন) সঞ্চালন বা সরবারহের কথা রয়েছে।

গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড সূত্রে জানা গেছে, বগুড়া থেকে রংপুর হয়ে সৈয়দপুর পর্যন্ত ১৪৭ দশমিক পাঁচ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ৩০ ইঞ্চি ব্যাসের সঞ্চালন লাইন বসানো হচ্ছে। পাইপ লাইনের রুটম্যাপ অনুযায়ী অধিগ্রহণ করা জমিতে সঞ্চালন লাইন পাইপ, ইন্ডাকশন বেন্ড, কোটিং ম্যাটেরিয়ালস, ফিটিংস, পিগ ট্রাপ, বল ভাল্ব, গেট ভাল্বসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম রয়েছে।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের আওয়াতাধীন পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পাইপ জোড়া লাগানোসহ ভূমি উন্নয়নের কাজ সম্পন্ন করেছে। পাইপ লাইনের শেষ প্রান্ত সৈয়দপুর শহরের ওয়াপদা মোড়ের বাইপাস সড়ক সংলগ্ন তিন একর জায়গাজুড়ে স্থাপন করা হচ্ছে একশ এমএমএসসিএফডি (মিলিয়ন স্ট্যান্ডার্ড কিউবিক ফিট পার ডে) ক্ষমতা সম্পন্ন সেন্ট্রাল গ্যাস সাপ্লাই (সিজিএস) স্টেশন।

এ ছাড়াও প্রকল্পের আওতায় রংপুরে ৫০ এমএমএসসিএফডি ক্ষমতা সম্পন্ন একটি টিবিএস (টাউন বর্ডার স্টেশন) এবং পীরগঞ্জে ২০ এমএমএসসিএফডি ক্ষমতা সম্পন্ন একটি টিবিএস স্থাপন করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের আওতাধীন পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড (পিজিসিএল) এক হাজার ৩৭৮ কোটি ৫৫ লাখ টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।