রাতে লাগা আগুনে পুড়ে গেলো জেলা শহরের শতাধিক দোকান

পঞ্চগড় শহরে লাগা আগুনে শতাধিক দোকানপাট ভস্মীভূত হয়েছে। গভীর রাতে শহরের মুড়িহাটি, শুঁটকি হাটি, মুরগি হাটি এলাকায় শুক্রবার (১১ নভেম্বর) রাতে আকস্মিক এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পঞ্চগড় জেলার ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট আড়াই ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিকাণ্ডে শতাধিক দোকান ও মালামাল সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে।

খবর পেয়ে পুলিশ সুপার এস এম সিরাজুল হুদা, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদুল হক, পঞ্চগড় থানার ওসি আব্দুল লতিফ মিয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

পঞ্চগড় ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পঞ্চগড় বাজারের এই এলাকাটিতে মুড়ি শুঁটকি, মুরগি, পান, চুড়ি ফিতা, দড়ি-সুতা, কাঁচাবাজার ও গালামালের দোকান পাট রয়েছে। সেখানে রাত ১টার পর আগুন লাগে। দাউ দাউ করে আগুন আশপাশের দোকানপাটে মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়দের সহযোগিতায় পঞ্চগড় ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজ করে। ফায়ার সার্ভিস অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানাতে পারেননি।

তবে স্থানীয়রা বলছেন, অগ্নিকাণ্ডে ছোট বড় প্রায় শতাধিক দোকানপাট ভস্মীভূত ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নগদ টাকা, মালামালসহ কোটি টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।

মুরগি ব্যবসায়ী বেলাল জানান, তার নিজের দুটিসহ প্রায় ২০/২৫টি মুরগির দোকান পুড়ে গেছে। দেশি, পাকিস্তানি ব্রয়লার সব মুরগিই পুড়ে গেছে। ব্যবসায়ীরা সর্বস্বান্ত।

মুড়ি ব্যবসায়ী বিপ্লব সোহেল বলেন, মুড়িসহ দোকানের সব মালামাল পুড়ে গেছে। অবশিষ্ট কিছুই নেই। এখন কীভাবে শুরু করবো বুঝতে পারছি না।

পঞ্চগড় ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক শেখ মোহাম্মদ মাহাবুবুল ইসলাম বলেন, ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট আড়াই ঘণ্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তদন্ত ছাড়া আগুনের সূত্রপাত বা ক্ষয়ক্ষতি কোনোটাই বলা সম্ভব নয়।

পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদুল হক জানান, ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কাজ চলছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করা হচ্ছে। অধিকাংশ দোকান সম্পূর্ণভাবে পুড়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারিভাবে সহযোগিতা প্রদানের ব্যবস্থা করা হবে।

পুলিশ সুপার এস এম সিরাজুল হুদা জানান, আগুন লাগার কারণ আমরা জানার চেষ্টা করছি। কী কারণে আগুন লাগলো তা জানতে  দ্রুত একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।