হিলিতে পেঁয়াজের কেজি ২৩ টাকা

বাজারে দেশীয় নতুন পাতা পেঁয়াজ উঠতে শুরু করেছে। এ কারণে সরবরাহ বেশি থাকায় চার দিনের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে পেঁয়াজের দাম কেজিতে দুই টাকা করে কমেছে। চার দিন আগেও বন্দরে ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ প্রকারভেদে ২৫ থেকে ২৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। বতর্মানে তা কমে ২৩ থেকে ২৭ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

সোমবার (১৪ নভেম্বর) হিলি বন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসা আব্দুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বর্তমানে বন্দরে পেঁয়াজের দাম কমতির দিকে রয়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম ১২ থেকে ১৩ টাকার মতো কমে গেছে। গত সপ্তাহে যে পেঁয়াজ প্রকারভেদে ৩৫ থেকে ৩৯ টাকা উঠে গিয়েছিল, তা কমতে কমতে এখন ২৩ থেকে ২৭ টাকায় নেমেছে।’

পেঁয়াজ ব্যবসায়ী সেলিম হোসেন বলেন, ‘সম্প্রতি ভারতে ইন্দোর ও নাসিক জাতের নতুন পেঁয়াজ উঠতে শুরু করেছে। এতে ভারতের বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ আগের তুলনায় বেড়েছে। এছাড়া নতুন পেঁয়াজ আসায় পুরনো পেঁয়াজগুলো কম দামে ছেড়ে দিচ্ছেন কৃষকরা। এ কারণে ভারতের বাজারেই পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমতির দিকে রয়েছে। এছাড়া দেশে ব্যাংকগুলো শর্তসাপেক্ষে সীমিত পরিসরে পেঁয়াজের এলসি দিতে শুরু করেছে। তাই আমদানিকারকরা পেঁয়াজের এলসি খুলতে পারায় বন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি বেড়েছে। এছাড়া ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দেশীয় নতুন পাতা পেঁয়াজ উঠতে শুরু করায় দাম কমতে শুরু করেছে। মণপ্রতি দেশীয় পেঁয়াজের দাম ২০০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা করে কমেছে। এতে দেশের বাজারে আমদানিকৃত পেঁয়াজের চাহিদা কমায় দামও কমতে শুরু করেছে।’
 
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন জানান, বন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি অব্যাহত রয়েছে। তবে গত সপ্তাহের তুলনায় চলতি সপ্তাহের প্রথম থেকেই বন্দর দিয়ে আমদানি কিছুটা বেড়েছে। গত সপ্তাহে যেখানে ১০ থেকে ১৫ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল বর্তমানে তা বেড়ে ১৫ থেকে ২৫ ট্রাক করে পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। বন্দর দিয়ে গতকাল রবিবার ২৪টি ট্রাকে ৬৪৬ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়। এর আগে শনিবার বন্দর দিয়ে ১৮টি ট্রাকে ৫২৬ টন আমদানি হয়েছিল। পেঁয়াজ যেহেতু কঁচাপণ্য, তাই আমদানিকারকরা যাতে দ্রুত যেন খালাস করে নিতে পারেন, সেজন্য বন্দর কর্তৃপক্ষ সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।