ম্যাজিস্ট্রেটের মামলায় কারাগারে স্বামী

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পপি খাতুনের মামলায় তার স্বামী মোহাইমেনুল ইসলামকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন বিচারক।

শনিবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে গোবিন্দগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শুনানি শেষে বিচারক নাজমুল হাসান এ আদেশ দেন।

এর আগে শনিবার (২৬ নভেম্বর) সকালে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের জীবনপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে মোহাইমেনুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মোহাইমেনুল ওই গ্রামের মাকসুদুর রহমানের ছেলে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোবিন্দগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) প্রলয় কুমার বর্মা বলেন, ‌‘শনিবার সকালে অভিযুক্ত মোহাইমেনুলকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। দুপুরে তাকে গোবিন্দগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বিকালে তাকে গাইবান্ধা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’

মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে এসআই প্রলয় কুমার বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার গোবিন্দগঞ্জ পৌর শহরের বোয়ালিয়া গ্রামে ভগ্নিপতি সোহরাবের বাড়িতে আসেন পপি খাতুন। শুক্রবার দুপুরে মোহাইমেনুল ইসলাম সেখানে এসে তার কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। পপি টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাকে মারধর করে গুরুতর আহত করা হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতেই গোবিন্দগঞ্জ থানায় মামলা করেন পপি খাতুন। পরে সকালে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত মোহাইমেনুলকে গ্রেফতার করা হয়।’

এ ঘটনায় ম্যাজিস্ট্রেট পপি তার স্বামী মোহাইমেনুলের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে নীলফামারী সদর থানায় মামলা করেন।

পপি খাতুন গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের জীবনপুর গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের মেয়ে। তিনি নীলফামারীর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পদে কর্মরত।