অপহরণ ও ধর্ষণের মামলায় এক যুবকের ৪৬ বছরের কারাদণ্ড

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণের দায়ে আসামি মেহেদী হাসান মানিককে ৪৬ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। এর মধ্যে অপহরণের দায়ে ১৪ বছর ও ধর্ষণের দায়ে ৩২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একইসঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে গাইবান্ধার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের-২ বিচারক মোহাম্মদ আব্দুর রহমান এই রায় ঘোষণা করেন। দীর্ঘ সাড়ে ৪ বছর পর মামলার রায় হলেও দণ্ডপ্রাপ্ত যুবক মেহেদী হাসান মানিক (২৩) পলাতক রয়েছে। সে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বড়দহ পূর্বপাড়ার জাবেদ আলীর ছেলে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে গাইবান্ধা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি মহিবুল হক সরকার মোহন বলেন, আদালতে সব সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে ধর্ষণের অপরাধে মেহেদী হাসানের ৩২ বছর এবং অপহরণের দায়ে ১৪ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন বিচারক। একইসঙ্গে তার ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানার এই টাকা ভুক্তভোগীকে দেওয়ার আদেশ দেন আদালত। মামলার পর ওই যুবককে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। কিন্তু উচ্চ আদালত থেকে জামিনের পর থেকে পলাতক সে।

তাকে গ্রেফতারে আদালত পরোয়ানা জারি করেছে। গ্রেফতারের পর থেকে তার সাজার মেয়াদ শুরু হবে বলেও জানান সরকারি কৌঁসুলি। 

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৭ এপ্রিল গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার নবম শ্রেণির এক ছাত্রী তার খালার সঙ্গে পলাশবাড়ী উপজেলায় বেড়াতে যায়। সেখানে থাকাকালে গত ১০ এপ্রিল বিকালে তার খালার সঙ্গে বাড়ির সামনের রাস্তায় ঘুরতে যায়। পথে মেহেদী হাসান ও তার সঙ্গে থাকা ৫-৬ জন এসে মোটরসাইকেলে করে মেয়েটিকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে আটকে রেখে পাশবিক নির্যাতন চালায়।

এ ঘটনার ছয় দিন পর ১৬ এপ্রিল ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে পলাশবাড়ী থানায় মামলা করেন। এতে মেহেদীর নাম উল্লেখসহ তার সহযোগী ৪-৫ জনকে আসামি করা হয়। পুলিশ আসামিকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায়। এ ছাড়া মামলার তদন্ত শেষে মেহেদী হাসানকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।